Ranji Trophy 2024-25

সূরজের দাপটে জয়, ইনিংসে জিতেও কোয়ার্টারে ওঠা হল না অনুষ্টুপদের, অবসর ঋদ্ধির

অবসর নিলেন ঋদ্ধি। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল। শনিবার পঞ্জাবকে ইনিংস এবং ১৩ রানে হারিয়েও গ্রুপে প্রথম দুইয়ের মধ্যে থাকা হল না অনুষ্টুপ মজুমদারদের। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হল না তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৭
Share:
Wriddhiman Saha

ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র।

ইডেনে খেলেই অবসর নিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলা উইকেটরক্ষককে আর দেখা খেলতে দেখা যাবে না। অবসর নিলেন তিনি। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল। শনিবার পঞ্জাবকে ইনিংস এবং ১৩ রানে হারিয়েও গ্রুপে প্রথম দুইয়ের মধ্যে থাকা হল না অনুষ্টুপ মজুমদারদের। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হল না তাঁদের।

Advertisement

শুক্রবার বাংলার পেসার সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ১৮৫ বলে ১১১ রান করেন। বল হাতে তিনি দুই ইনিংস মিলিয়ে আটটি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর দাপটেই পঞ্জাবকে ইনিংসে হারাল বাংলা। সাত পয়েন্টও পেল তারা। কিন্তু ৭ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়েই শেষ বাংলার এ বারের রঞ্জি। গ্রুপে কেরল সাত ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। হরিয়ানা ছ’ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট পেয়েছে। তাদের শেষ ম্যাচ চলছে। ফলে কোনও ভাবেই প্রথম দুইয়ে উঠতে পারবে না বাংলা। তাই পরের পর্বেও যাওয়া হবে না।

ঋদ্ধিমান আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এ বারের রঞ্জি ট্রফি শেষ হলেই তিনি অবসর নেবেন। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ ছিল বাংলার। এই ম্যাচের প্রথম দিনেই ঋদ্ধিকে সংবর্ধনা দেয় বাংলার ক্রিকেট সংস্থা। দলের তরফে সকলের সই করা জার্সি দেওয়া হয় ঋদ্ধিকে। এখন থেকে তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে যে জড়িয়ে থাকবেন তা বলা যায় নিঃসন্দেহ।

Advertisement

বাংলার এ বারের মরসুমটাও ট্রফিহীন রইল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি (ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা) এবং বিজয় হজারে ট্রফিতে (ঘরোয়া এক দিনের প্রতিযোগিতা) নক আউটে উঠলেও ট্রফির কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি বাংলা। রঞ্জিতে যদিও গ্রুপ পর্বই পার করা হল না।

ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব ১৯১ রান করে। সেই ইনিংসে ৪ উইকেট নেন সূরজ। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সুমিত মোহান্তাও চার উইকেট নেন। বাকি দু’টি উইকেট নেন মহম্মদ কইফ। পঞ্জাবের হয়ে শতরান করেন অনমল মলহোত্র। তাঁর জন্যই লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছেতে পেরেছিল পঞ্জাব।

ব্যাট করতে নেমে বাংলার প্রথম দিকের ব্যাটারেরা ব্যর্থ হন। ওপেনার অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় (১১) এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (১৭) বেশি রান পাননি। সুদীপ ঘরামিও ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক অনুষ্টুপ (৩২) এবং সুমন্ত গুপ্ত (৫৫) কিছুটা লড়াই করেন। তবে বাংলাকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন নৈশপ্রহরী হিসাবে ব্যাট করতে নামা সূরজ। তিনি শতরান করেন। অভিষেক পোড়েল করেন ৫২ রান। ঋদ্ধিমান বাংলার হয়ে শেষ ইনিংসে শূন্য করেন। বাংলা ৩৪৩ রান করে চাপে ফেলে দেয় পঞ্জাবকে।

দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্জাব শেষ ১৩৯ রানে। সেই ইনিংসেও চার উইকেট সূরজের। তিনটি উইকেট নেন সুমিত এবং দু’টি উইকেট কইফের। একটি রান আউট হয়। ইনিংস এবং ১৩ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement