করণ লাল এবং অনুষ্টুপ মজুমদারকে পাশে নিয়ে লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছবি: সংগৃহীত।
বিজয় হজারে ট্রফিতে (৫০ ওভারের ঘরোয়া ক্রিকেট) প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বাংলা। মঙ্গলবার পঞ্জাবকে ৫২ রানে হারিয়ে দিলেন সুদীপ ঘরামিরা। তবুও গ্রুপের শীর্ষে থেকে পরের পর্বে যাওয়া হল না বাংলার। তামিলনাড়ুর সঙ্গে পয়েন্ট সমান তাদের। কিন্তু তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে হেরেছিল বাংলা। তাই রানরেটের বিচারে বাংলা এগিয়ে থাকলেও গ্রুপ শীর্ষে রইল তামিলনাড়ু।
নক-আউটে উঠতে হলে মঙ্গলবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিততেই হত বাংলাকে। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলা তোলে ২৪২ রান। ওপেনারেরা ব্যর্থ হলেও দলকে ভরসা দেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। তিনি ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১৬ বলের তাঁর সেই ইনিংসে মারেন ১০টি চার এবং দু'টি ছক্কা। অনুষ্টুপকে সঙ্গ দেন করণ লাল। ৬৬ রান করেন তিনি। অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি করেন ২৬ রান। শাহবাজ় আহমেদ ১৬ রান করেন। বাকি আর কোনও ব্যাটার ১০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি।
পঞ্জাবের হয়ে ৫ উইকেট নেন বলতেজ সিংহ। একটি করে উইকেট নেন সিদ্ধার্থ কৌল, অভিষেক শর্মা, প্রেরিত দত্ত এবং ময়াঙ্ক মরকন্ডে। বাংলা পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ২৪২ রান তোলে।
বাংলার রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে পঞ্জাব। তাতে উইকেটও হারাতে থাকে তারা। ফলে ২৫ ওভারে পঞ্জাব ১৯০ রান তুলে নিলেও অল আউট হয়ে যায়। পঞ্জাবের লক্ষ্য ছিল নেট রানরেটের দিকে। ফলে দ্রুত রান তোলার প্রয়োজন ছিল তাদের। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে উইকেট হাতে রাখতে পারেনি পঞ্জাব। বাংলার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহবাজ় এবং কৌশিক মাইতি। দু'টি করে উইকেট নেন মহম্মদ কইফ এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট তুলে নিল বাংলা। গ্রুপ ই-তে বাংলা এবং তামিলনাড়ুর পয়েন্ট সমান। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকলেও তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ার কারণে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল বাংলা। নক আউটের সব ম্যাচগুলি হবে রাজকোটে। ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। বাংলা খেলবে গুজরাতের বিরুদ্ধে। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ ১১ ডিসেম্বর। ফাইনাল হবে ১৪ ডিসেম্বর।
(ভ্রম সংশোধন: এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় বাংলা বিজয় হজারের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে লেখা হয়েছিল। সেটি ভুল। তারা প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)