ম্যাচ চলাকালীন ফিল সল্টের ব্য়াট পরীক্ষা করে দেখছেন আম্পায়ার। ছবি: সমাজমাধ্যম।
আইপিএলে কি নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করছেন ব্যাটারেরা? বাড়তি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা? চলতি আইপিএলে দেখা যাচ্ছে, খেলার মাঝে ব্যাটারদের ব্যাট পরীক্ষা করে দেখছেন আম্পায়ারেরা। মাঠে আম্পায়ারদের বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কেন এই নির্দেশ?
আসলে ব্যাটের মাপ পরীক্ষা করে দেখছেন আম্পায়ারেরা। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চাইলে খেলার মাঝেই তা করতে পারেন তাঁরা। আম্পায়ারদের কাছে একটি নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে। সেই মাপের ফাঁক দিয়ে ব্যাট মসৃণ ভাবে যাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন আম্পায়ারেরা। এ বারই এই নিয়ম চালু হয়েছে আইপিএলে।
চলতি আইপিএলে প্রথম দু’সপ্তাহে হার্দিক পাণ্ড্য, ফিল সল্ট, শিমরন হেটমেয়ারের মতো ব্যাটারের ব্যাট মাঠে পরীক্ষা করে দেখেছেন আম্পায়ারেরা। তবে এখনও পর্যন্ত কারও ব্যাটের মাপ বেশি হয়নি। তাতে স্বস্তিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বোর্ডের নিয়ম, কোনও ব্যাট চওড়ায় ৪.২৫ ইঞ্চি বা ১০.৮ সেন্টিমিয়ারের বেশি হতে পারবে না। ব্যাট ২.৬৪ ইঞ্চি বা ৬.৭ সেন্টিমিটারের বেশি মোটা হতে পারবে না। ব্যাটের ধার ১.৫৬ ইঞ্চি বা ৪ সেন্টিমিটারের বেশি হতে পারবে না। ব্যাটের ওজন ব্যাটারেরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। তবে বাকি তিনটি মাপ বোর্ডের দেওয়া মাপের থেকে বেশি কোনও ভাবেই করা যাবে না।
আম্পায়ারেরা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ম্যাচের আগে সাজঘরে ব্যাটারদের মাপ পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। প্রত্যেক ব্যাটার তাঁদের একটি করে ব্যাট আম্পায়ারদের কাছে জমা দেন। তা দেখে আম্পায়ার সম্মত হলে সেই ব্যাট দিয়ে খেলা যায়। তা হলে কেন আবার মাঠের মধ্যে ব্যাট পরীক্ষা করা হচ্ছে?
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
জবাবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আম্পায়ার জানিয়েছেন, পরীক্ষার জন্য যে ব্যাট জমা দেওয়া হয়েছে সেই ব্যাট নিয়েই যে ব্যাটার নেমেছেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। প্রত্যেকের কাছে অনেক গুলি ব্যাট থাকে। অনেক সময় মাঠেই ব্যাটারেরা ব্যাট বদল করেন। সেই কারণে মনে হলে আম্পায়ারেরা ব্যাট পরীক্ষা করে দেখেন।
আগে আইপিএলে এই ঘটনা দেখা গিয়েছে। নির্ধারিত মাপের থেকে বড় ব্যাট নিয়ে কেউ কেউ খেলতে নেমেছেন। তা যাতে আর না হয় তার জন্য কড়া নিয়ম নিয়ে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এ বারই আইপিএলে তা চালু হয়েছে। আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল জানিয়েছেন, ক্রিকেটীয় মানসিকতা বজায় রাখার জন্যই এই নিয়ম করা হয়েছে।