পৃথ্বী শ। ছবি: এক্স (টুইটার)।
পারফর্ম করতে না পারায় পৃথ্বী শ ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন আগেই। এ বার বাদ পড়লেন মুম্বইয়ের রঞ্জি দল থেকেও। পৃথ্বী বাদ পড়েছেন ফিটনেসের কারণে। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে। মুম্বইয়ের দলে নেই সূর্যকুমার যাদবও। তিনি ছুটি চেয়েছিলেন।
রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের পরের ম্যাচ ত্রিপুরার বিরুদ্ধে। আগরতলায় খেলা হবে ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এই ম্যাচের জন্য মুম্বই যে দল ঘোষণা করেছে, তাতে পৃথ্বী নেই। তাঁর ফিটনেস নিয়ে একদমই খুশি নয় মুম্বইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে (এমসিএ) দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, পৃথ্বীর শরীরে ৩৫ শতাংশই মেদ। দলে থাকতে হলে কঠোর ফিটনেস ট্রেনিং করে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে হবে। ফিটনেসের পাশাপাশি ফর্মেও নেই পৃথ্বী। রঞ্জি ট্রফির চারটি ইনিংসে তাঁর রান যথাক্রমে ৭, ১২, ১ এবং অপরাজিত ৩৯।
এমসিএর এক কর্তা বলেছেন, ‘‘পৃথ্বীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ওর উচিত অনুশীলনে মন দেওয়া। ওকে ওজন কমাতে হবে। তার পর পৃথ্বীকে দলে নেওয়ার কথা ভাবা হবে।’’ ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম শুরু হওয়ার আগে পৃথ্বী ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে। নিজেকে ফিট রাখতে চেয়েছিলেন তরুণ ব্যাটার। নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে রান পেলেও পরের দিকে আর পারফর্ম করতে পারেননি। নর্দাম্পটনশায়ার কর্তৃপক্ষ ১৫ জনের দল থেকেও তাঁকে বাদ দিয়েছিলেন।
পৃথ্বীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ নতুন নয়। আগেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। মাঠের বাইরেও একাধিক বার ঝামেলায় জড়িয়েছেন তিনি। গত বছর রঞ্জি ট্রফির সময়ও তাঁর বিরুদ্ধে শঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। মুম্বই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। যদিও সরকারি ভাবে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন্ধুদের সঙ্গে হোটেলে খেতে গিয়ে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে কয়েক জনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। তার আগে ২০১৮-১৯ মরসুমে পৃথ্বীর নমুনায় নিষিদ্ধ ওষুধের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। ভুল করে কাশির ওষুধ খাওয়ার কথা জানিয়েও রেহাই পাননি। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আট মাসের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন ডোপিংয়ের অপরাধে। ২০২২ সালের আইপিএলের আগে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। ২০২১ সালের মে মাসে কোভিড লকডাউন লঙ্ঘন করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পৃথ্বী।
পৃথ্বী বাদ পড়লেও অজিঙ্ক রাহানের দলে শ্রেয়স আয়ার, শার্দূল ঠাকুরের মতো পরিচিত ক্রিকেটারেরা আছেন। তবে এই ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সূর্যকুমার। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি এমসিএর কাছে ছুটি চেয়েছেন। ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের আর্জি মঞ্জুর হয়েছে।