জাতীয় দলের সতীর্থদের পিএলএলে সমীহ করছেন বাবর। ফাইল ছবি।
শাহিন আফ্রিদিকে সমীহ করেন বিশ্বের প্রায় সব ব্যাটার। পাকিস্তানের অধিনায়কও গুরুত্বপূর্ণ সময় শাহিনকে বোলিং আক্রমণে এনে প্রতিপক্ষ দলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেন। এ বার নিজেই চাপে পড়েছেন বাবর আজম। তাঁকে সামলাতে হবে শাহিনের বল।
পাকিস্তান সুপার লিগে রবিবার শাহিনের লাহোর কলন্ডর্সের মুখোমুখি বাবরের পেশোয়ার জ়ালমি। এই ম্যাচের আগে পাক অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, লাহোরের অধিনায়কের বল কী করে সামলাবেন? জবাবে বাবর বলেছেন, ‘‘আমি কি কাঁদতে কাঁদতে ওর কাছে যাব! কী করব, খেলতে তো হবেই!’’ দেশের হয়ে যে অস্ত্রে প্রতিপক্ষকে ২২ গজের লড়াইয়ে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করেন বাবর, সেই অস্ত্রই এ বার তাঁকে সামলাতে হবে।
শাহিন-বাবর লড়াই নিয়ে উত্তেজিত পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরাও। জাতীয় দলের সেরা ব্যাটার এবং সেরা বোলারের লড়াই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। বাবর বলেছেন, ‘‘শাহিন বা লাহোরের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। শাহিন যে ধরনের বোলার এবং এখন যে ছন্দে রয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে ওই পাকিস্তানের সেরা বোলার। প্রতিদিন উন্নতি করছে শাহিন। ওর বল খেলা সব সময় চ্যালেঞ্জের। ভাল খেলতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সেরা বোলারের বিরুদ্ধে খেলার অনুভূতি অন্য রকম। যদিও অনেক সময়ই শাহিন আমাকে সমস্যায় ফেলে।’’
বাবর জানিয়েছেন, মাঠের লড়াইয়ের প্রভাব বাইরে থাকে না। পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রতিযোগিতা মাঠের মধ্যে। বাইরে আমরা একসঙ্গে সময় কাটাই। আড্ডা, রসিকতা চলে আমাদের মধ্যে। আবার মাঠে লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড়ি না। পিএসএলে মহম্মদ রিজ়ওয়ান, শাদাব খান, হাসান আলি সবার বিরুদ্ধেই খেলতে হচ্ছে। পাকিস্তানের হয়ে আমরা একসঙ্গে খেলি। সব সময় আমরা নিজেদের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করি।’’
২২ গজের এই লড়াই তাঁদের বন্ধুত্বে প্রভাব ফেলে না বলে জানিয়েছেন বাবর। বরং পারফরম্যান্স দিয়ে পরস্পরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সকলে। বাবরের বক্তব্য, নিজেদের মধ্যে এই সুস্থ লড়াই আসলে শক্তিশালী করে পাকিস্তান দলকেই। প্রতিযোগিতায় বাবরও ভাল ছন্দে রয়েছেন। চারটি ম্যাচ খেলে ১৭১ রান করেছেন পাক অধিনায়ক।