(বাঁ দিকে) মিচেল স্টার্ক এবং হর্ষিত রানা (ডান দিকে)। ছবি: এক্স (টুইটার)।
খেলার মাঠে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কথার লড়াই নতুন কিছু নয়। খেলোয়াড়েরা এ সবে অভ্যস্ত। আবার ক্লাবের সতীর্থকে আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসাবে পাওয়া বা জাতীয় দলের সতীর্থকে ক্লাবে প্রতিপক্ষ হিসাবে পাওয়াও স্বাভাবিক। আইপিএলের এবং অন্য টি-টোয়েন্টি লিগগুলির সুবাদে ক্রিকেটেও এখন বিশ্বভ্রাতৃত্বের আবহ। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির প্রথম টেস্টও সাক্ষী থাকল তেমনই বন্ধুত্বপূর্ণ বিবাদের।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির ব্যাটারদের দ্রুত আউট করতে পারলেও মিচেল স্টার্ক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। স্টার্কের লড়াই শনিবার কিছুটা হলেও ভারতীয় বোলারদের অধৈর্য করে তোলে। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৩০তম ওভারে বোলার ছিলেন হর্ষিত রানা। স্টার্ককে সমস্যায় ফেলার জন্য তিনি টানা খাটো লেংথের বল করছিলেন। ওভারের প্রথম দু’টি বল বাউন্সার দেন হর্ষিত। স্টার্ক সামলে নেন। পরের বলগুলিও স্টার্কের বুকের উচ্চতায় তুলছিলেন হর্ষিত। ওভারের পঞ্চম বলটি প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা বেশি লাফিয়ে স্টার্কের ব্যাট ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা বিরাট কোহলির কাছে চলে যায়। হর্ষিতের বলটি স্টার্ককেও কিছুটা চমকে দেয়। হর্ষিত নিজের বোলিং মার্কে ফিরে যাওয়ার সময় মুখ খোলেন স্টার্ক। হাসতে হাসতে অস্ট্রেলীয় জোরে বোলার বলেন, ‘‘হর্ষিত, আমি কিন্তু তোমার থেকেও জোরে বল করতে পারি। আমার স্মৃতি বেশ ভাল।’’ স্টার্কের ‘সতর্কবার্তা’ কিছুটা লজ্জায় ফেলে দেয় হর্ষিতকে। জিভ কাটেন। হেসেও ফেলেন। শেষ পর্যন্ত হর্ষিতের বলেই আউট হন স্টার্ক। পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের এই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স।
গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলেছেন হর্ষিত এবং স্টার্ক। তাঁরাই ছিলেন কেকেআরের জোরে বোলিং আক্রমণের প্রধান জুটি। সেই সূত্রে তাঁদের বন্ধুত্ব রয়েছে। কেকেআরের অনুশীলনে সিনিয়র হিসাবে স্টার্ক নানা পরামর্শও দিতেন হর্ষিতকে। টেস্ট অভিষেক হওয়া হর্ষিতের বোলিং সামলাতে সামলাতে স্টার্ক সম্ভবত সে কথাই মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন।
কেকেআর কর্তৃপক্ষ আগামী তিন বছরের জন্য হর্ষিতকে ধরে রাখলেও স্টার্ককে ছেড়ে দিয়েছেন। নিলামে নতুন দলের সন্ধানে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলারকে। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে স্টার্কই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। গত নিলামে তাঁকে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কিনেছিল কেকেআর।