রশিদ খান। ছবি: টুইটার।
নেট রান রেটের হিসাব ঠিক মতো করতে না পারায় এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে আফগানিস্তানের। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তুল্যমূল্য লড়াই করেও ২ রানে হেরে গিয়েছেন রশিদ খানেরা। পরে বিষয়টি জানার পর আফসোসের শেষ নেই আফগান ক্রিকেটারদের। সমাজমাধ্যমে সেই আফসোস প্রকাশ করেছেন আফগান অলরাউন্ডার। ফিরে আসার আশ্বাস দিয়েছেন সমর্থকদের।
রশিদ মঙ্গলবারের ম্যাচের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘খেলায় অনেক সাফল্য এবং ব্যর্থতা থাকে। সেগুলো থেকে শিখতে হবে, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে এবং আরও শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসতে হবে। আমাদের সমর্থন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’’ নেট রান রেটের নিয়ম না জানার জন্য ম্যাচের আম্পায়ারদের দুষেছে আফগানিস্তান শিবির। শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে ২৯১ রান করেছিল। নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কাকে টপকে সুপার ফোরে জায়গা করে নিতে হলে ৩৭.১ ওভারে ২৯২ রান করতে হত আফগানিস্তানকে। তার পরের হিসাব জানা ছিল না রশিদদের।
প্রথম হিসাব মাথায় রেখে খেলতে নেমেছিলেন আফগান ক্রিকেটারেরা। সেই মতো ৩৭ ওভারে আট উইকেটে ২৮৯ রান তুলে ফেলে আফগানিস্তান। শেষে এক বলে তাঁদের দরকার ছিল তিন রান। কিন্তু সেই বলে আউট হয়ে যান আফগানিস্তানের ব্যাটার মুজিব উর রহমান। তার পরেও অঙ্কের হিসাবে সুপার ফোরে ওঠার সুযোগ ছিল আফগানিস্তানের। ৩৭.৪ ওভারে ২৯৫ রান বা ৩৮.১ ওভারে ২৯৭ রান তুলতে পারলেই হত। কিন্তু এই পরের হিসাব জানা ছিল না রশিদদের। তাই ৩৭.১ ওভারে নবম উইকেট পড়তেই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। আর চেষ্টা করেননি রশিদেরা।
আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট স্বীকার করে নিয়েছেন নেট রান রেটের নিয়ম তাঁরা জানতেন না। এ জন্য ম্যাচের দুই আম্পায়ারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। ট্রট বলেছেন, ‘‘আমাদের নেট রান রেটের হিসাব নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছিল, ৩৭.১ ওভারের মধ্যে ২৯২ রান করতে হবে। কিন্তু এটা বলা হয়নি যে ৩৮.১ ওভার পর্যন্তও আমরা জিততে পারি। ২৯৫ বা ২৯৭ রান করলেও যে সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ থাকবে, তা আমাদের জানানো হয়নি। নেট রান রেটের হিসাব জানা থাকলে আমরা জিততেও পারতাম।’’