কোহলীর মন্তব্যের উত্তর দিলেন গাওস্কর। ফাইল ছবি
টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কার থেকে ফোনের অপেক্ষা করছিলেন বিরাট কোহলী? ঠিক কী ধরনের বার্তা প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি? পাকিস্তানের কাছে হারের পর ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের করা মন্তব্যের পাল্টা দিলেন সুনীল গাওস্কর। তাঁর মতে, কোহলীর উচিত সেই ব্যক্তিদের নাম বলা, যাঁরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে গাওস্কর বলেছেন, “বিরাট ঠিক কাকে ইঙ্গিত করছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। যদি কারওর নাম বলত, তা হলে তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা যেত যে, সে কোহলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না। আমি শুনেছি ও বলেছে, টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর শুধু এমএসডি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।”
কোহলীকে উত্তর দিতে গিয়ে এখানেই থামেননি গাওস্কর। বলেছেন, “ওর সঙ্গে খেলেছে, এ রকম কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথা যদি কোহলী ইঙ্গিতে বুঝিয়ে থাকে, তা হলে এমন অনেককেই আমরা চিনি যারা রোজ টিভিতে মুখ দেখায়। তাই সেই ক্রিকেটারের নাম নেওয়া উচিত কোহলীর। জিজ্ঞাসা করা উচিত সে কেন বার্তা পাঠাল না।”
প্রসঙ্গত, এই বছরের শুরুতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বিরাট। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “আমি যখন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ি, এক জন মাত্র প্রাক্তন ক্রিকেটার আমাকে ফোন করেছিল। অনেকের কাছেই আমার নম্বর আছে। কিন্তু ফোন করেছিল শুধু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়। সত্যি যদি আমার কথা কেউ ভেবে থাকে, তা হলে সে আমাকে ফোন করে কথা বলতে পারত।”
এই প্রসঙ্গে গাওস্কর বলেছেন, “কী ধরনের বার্তা পেতে চেয়েছিল কোহলী? ও কি চেয়েছিল কেউ উৎসাহ দিক? নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর কারওর থেকে ও উৎসাহ চাইবেই বা কেন? এই অধ্যায় তো শেষ হয়েই গিয়েছে।” গাওস্করের মতে, এখন পুরনো কথা না তুলে কোহলীর উচিত নিজের খেলায় আরও মনোযোগ দেওয়া। বলেছেন, “এখন ও ক্রিকেটার হিসাবে খেলছে। তাই সেটাতেই জোর দেওয়া উচিত। অধিনায়ক থাকলে বাকিদের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবা উচিত ছিল। এখন তো সেই ভাবনা নেই।”
কোহলীর সঙ্গে নিজের তুলনা করেছেন গাওস্কর। জানিয়েছেন, তিনি নেতৃত্ব ছাড়ার সময়েও কেউ আলাদা করে শুভেচ্ছা জানাননি। গাওস্করের কথায়, “১৯৮৫ সালে বিশ্ব ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের পর আমি নেতৃত্ব ছাড়ি। সেই রাতে আমরা মজা করেছিলাম, একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। এর থেকে বেশি আর কী প্রত্যাশা করতে পারি?”