বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে পাকিস্তানের অপ্রত্যাশিত হারের জন্য বাবর আজ়মকেই দায়ী করলেন আবদুল রজ্জাক। পাকিস্তানের প্রাক্তন অলরাউন্ডারের দাবি, অধিনায়কই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে দেননি আবদুল্লা শফিককে। রজ্জাকের দাবি, সে জন্যই হারতে হয়েছে। না হলে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিতে হত না।
প্রাক্তন ক্রিকেটার বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তানের সাজঘরে ছিলেন না। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতেও যাননি। টেলিভিশনে খেলা দেখেই তাঁর মনে হয়েছে, সেই ম্যাচে অধিনায়কের জন্যই হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। রজ্জাক বলেছেন, ‘‘হঠাৎ করেই শফিকের ব্যাটিংয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পেয়েছিলাম। বেশ আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করছিল শফিক। যে ভাবে খেলছিল। তাতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমরাই জিততাম। কিন্তু বাবর ব্যাট করতে নামার পরেই শফিকের আগ্রাসী ব্যাটিং বন্ধ হয়ে যায়। তার থেকে বোঝা যায়, বাবর নিশ্চই ওকে নির্দেশ দিয়েছিল, আগ্রাসী শট না খেলার। তাই হঠাৎ করেই শফিক রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করে। কয়েকটা শট দোনামোনা করেও মারে। শেষে যে বলটাও শফিক আউট হয়েছিল, সেটা এক দমই আউট হওয়ার মতো বল ছিল না। দেখে মনে হয়েছিল, কী করে খেলতে হয় জানেই না!’’
এখানেই থামেননি রজ্জাক। তিনি বাবরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আরও বলেছেন, ‘‘এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে অধিনায়ক মাঠে থাকলে কেন অন্য ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেক ৭৫ থেকে ৮০-র বেশি হচ্ছিল না। তার মানে বাবরের নির্দেশেই সবাই মন্থর ব্যাটিং করেছে।’’ উল্লেখ্য, চেন্নাইয়ের মাঠে পাকিস্তান আগে ব্যাট করে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে করেছিল ২৮৩ রান। রজ্জাকের মতে, সেই ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটারেরা স্বাধীন ভাবে খেলতে পারলেন ৩৫০-এর কাছাকাছি রান হতে পারত। তা হলে ম্যাচও হারতে হত না পাকিস্তানকে।
তবে কি বাবর ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন? এ নিয়ে মন্তব্য করেননি রজ্জাক। তিনি বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তানের মতো দলের সঙ্গে ২৭০-৮০ রান! অন্তত ৩৫০-এর কাছাকাছি তোলা উচিত ছিল। পাকিস্তানের খেলার ধরনেই ভুল ছিল। বাবর যে ভাল অধিনায়ক নয়, এর থেকেই বোঝা যায়। সতীর্থদের নিয়ে কী করে চলতে হয়, তাও জানে না। কী করে নেতৃত্ব দিতে হয়, জানেই না। অথচ সবাই ওকে সাহায্য করতে চেয়েছিল।’’
রজ্জাক মনে করেন বাবরের দুর্বল নেতৃত্বই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার প্রধান কারণ। না হলে এ বার অন্তত সেমিফাইনাল খেলতই তারা। বাবরের নির্দেশে চলতে গিয়েই ভারতের মাটিতে ডুবেছে দল।