অলিম্পিক্সের লোগো। — ফাইল চিত্র।
১২৮ বছর পর অলিম্পিক্সে ফিরেছে ক্রিকেট। সেই ইভেন্টে ক’টি দেশ অংশ নেবে তা ঠিক হয়ে গেল বুধবার রাতে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, সোনার পদকের জন্য লড়াই হবে ছ’টি দেশের। তবে ফুটবলে কমছে দেশের সংখ্যা। পুরুষদের ফুটবলে এত দিন ১৬টি দেশ খেলত। তা কমে হচ্ছে ১২। মহিলাদের ফুটবলে দেশের সংখ্যা বেড়েছে। ১৬টি দেশ এ বার থেকে অংশ নিতে পারবে। এ দিকে, অলিম্পিক্সে কম্পাউন্ড তিরন্দাজি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৯০০ সালের অলিম্পিক্সে ছিল ক্রিকেট। মাত্র একটি ম্যাচ খেলা হয়েছিল সে বার। দীর্ঘ দিন ধরেই ক্রিকেটকে অলিম্পিক্সের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছিল আইসিসি। তা সফল হয়েছে। ছ’টি দল খেলবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পুরুষ এবং মহিলা, দুই বিভাগের ক্ষেত্রেই সংখ্যাটি একই থাকছে। প্রতিটি দলে থাকতে পারেন সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য।
তবে যোগ্যতা অর্জন কী ভাবে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। আইসিসির অধীনে ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশ রয়েছে। এ ছাড়া ৯০টিরও বেশি দেশ সহযোগী সদস্য হিসাবে রয়েছে, যারা মূলত টি-টোয়েন্টিতে খেলে। আয়োজক হিসাবে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারে আমেরিকা। বাকি দেশগুলিকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
ফুটবলে মহিলাদের দল বাড়ানোর ক্ষেত্রে খেলাটির জনপ্রিয়তাকে তুলে ধরেছে আইওসি। আমেরিকায় মহিলাদের ফুটবল দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আইওসি-র স্পোর্টস ডিরেক্টর কিন ম্যাকোনেল বলেছেন, “আমেরিকায় মহিলাদের ফুটবল কতটা জনপ্রিয় এবং কী ভাবে উন্নতি হচ্ছে সেটা দেখানোর জন্য এই কাজ আমাদের করতেই হত।” উল্লেখ্য, অলিম্পিক্সে মহিলাদের ফুটবলে আমেরিকা পাঁচটি সোনা জিতেছে।
পরের অলিম্পিক্সে অনেক মিক্সড ইভেন্ট যোগ করা হয়েছে। তিরন্দাজির পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে টেবিল টেনিস, গল্ফ, জিমন্যাস্টিক্স, রোয়িং কোস্টাল বিচ স্প্রিন্ট এবং অ্যাথলেটিক্স। এই প্রথম বার অলিম্পিক্সে পুরুষদের (৫৫৪৩) থেকে মহিলাদের (৫৬৫৫) সংখ্যা বেশি হবে।
কম্পাউন্ড তিরন্দাজি যুক্ত হওয়ায় ভারতের পদকের সম্ভাবনা বেড়েছে। কারণ, রিকার্ভ তিরন্দাজিতে দক্ষিণ কোরিয়ার দাপটের সামনে ভারত কোনও দিনই খেলতে পারেননি। তবে গত তিন বছরে ভারতের কম্পাউন্ড তিরন্দাজেরা ভাল ফল করেছেন। বিশ্বকাপ এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিয়মিত পদক জিতছেন তাঁরা।