Football

ইউরো পরে হওয়ায় ইটালিরই সুবিধা, মত মানচিনির

বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে মনচিনির হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেয় ইটালি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

করোনাভাইরাস অতিমারিতে তাঁদের দেশ সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত। তবু আশায় রয়েছেন জাতীয় দলের কোচ এবং প্রাক্তন তারকা ফুটবলার রবের্তো মানচিনি। ইউরো ২০২০ পিছিয়ে যাওয়ায় সুবিধে পেতে পারে ইটালি বলে তাঁর মনে হচ্ছে। একই সঙ্গে অবশ্য তিনি মনে করেন, টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে।

Advertisement

বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে মনচিনির হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেয় ইটালি। তার পর থেকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তারা, জিতেছে সব ম্যাচই। ইউরোর যোগ্যতা অর্জন র্টুনামেন্টে তারা অপরাজিত। জিতেছে টানা ১১ ম্যাচ।

মানচিনি বলেছেন, ‘‘জুনে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেললে আমাদের ভাল কিছু করার প্রবল সম্ভাবনা থাকতই। তবে সে ক্ষেত্রে আমাদের অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সব দলের বিরুদ্ধেও খেলতে হত। যেমন ফ্রান্স। কিন্তু অতিরিক্ত এক বছর সময় পাওয়ায় আমার ছেলেরা আরও উন্নতি করার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতাও বাড়িয়ে নেবে। এটা অবশ্যই একটা বাড়তি সুবিধে।’’ যোগ করেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের যা শক্তি তাতে ইটালি বিশ্বের যে কোনও শক্তিশালী দলের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে। ইটালি প্রথম ইউরোপ-সেরা হয়েছিল ১৯৬৮-তে। আশা করি আমিও এক জ‌ন চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ হয়ে উঠতে পারব।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সালাহদেরই চ্যাম্পিয়ন দেখছেন উয়েফা প্রধান

ইটালির জাতীয় দল তাদের শেষ ম্যাচ খেলেছিল নভেম্বরে। আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ তারা ৯-১ গোলে জেতে। করোনা সংক্রমণ তীব্র রূপ নেওয়ায় মার্চে তাদের দু’টি ফ্রেন্ডলি বাতিল হয়ে যায়। তার পরে তো ইউরোই এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর দেশের যা অবস্থা তাতে মানচিনির শুধুই ফুটবল নিয়ে কথা বলেননি। ইটালিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৪৭। প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। তাই মানচিনিকে বলতে শোনা গেল, ‘‘খুবই খারাপ একটা সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। বহু মানুষ আমাদের পাশে আর নেই। যা মেনে নেওয়া সব চেয়ে কঠিন। বলতেই হচ্ছে যে এত মৃত্যুর পরে ফুটবলকে কখনওই আর অগ্রাধিকার দেওয়া যায় না।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement