—ফাইল চিত্র।
গত কাল আইপিএল খেলতে চেন্নাই থেকে দুবাই উড়ে গিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। যে বিমানযাত্রার একটি বিশেষ ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেছেন জর্জ নামক এক ব্যক্তি। ধোনির ‘উপহারের’ কথা বলে তিনি লিখেছেন, ‘‘ক্রিকেটে তিনি সব কিছু করেছেন, সব কিছু পেয়েছেন। আর সেই লোকটাই যখন এসে বলে, আপনার পা খুব লম্বা। আপনি আমার আসনে (বিজনেস ক্লাস) গিয়ে বসুন। আমি ইকনমিতে বসছি, তখন বিস্মিত হতে হয় বইকী। এই অধিনায়ক সব সময় আমাকে বিস্মিত করে।’’ এর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, কে এই জর্জ? সেই ব্যক্তির গায়ে চেন্নাই দলের হলুদ পোশাক দেখে কেউ, কেউ মনে করছেন, জর্জ হয়তো সিএসকে-র কোনও সাপোর্ট স্টাফ। বছর কয়েক আগে বিরাট কোহালি-অনুষ্কা শর্মা অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাডিলেড থেকে পার্থে যাওয়ার বিমানে ভারতীয় পেসারদের বিজনেস ক্লাসের আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে টুইট করেছিলেন মাইকেল ভন।
সিএসকে-র বোলিং কোচ, ভারতের প্রাক্তন পেসার লক্ষ্মীপতি বালাজি একটি টিভি চ্যানেলে জানিয়েছেন, কী ভাবে ধোনির নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বাকিদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গিটাই পাল্টে দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঠিক পরে ধোনি কী করেছিলেন। বালাজি বলেছেন, ‘‘সাধারণত প্র্যাক্টিস শেষ হয়ে গেলে ধোনির সঙ্গে পিচ নিয়ে, প্লেয়িং কন্ডিশন নিয়ে আলোচনা করি। সে দিনও প্র্যাক্টিসের পরে ড্রেসিংরুমে যাই। তখনও বুঝিনি, ও রাত ৭.২৯ মিনিটে নিজের অবসরের সিদ্ধান্তটা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছে।’’
বালাজি বলে চলেন, ‘‘তার পরে আমার কাছে এসে বলল যে, পিচে একটু বাড়তি জল দিতে বললাম মাঠ কর্মীদের। আমি তখনও বুঝিনি জীবনের ও রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ও। ধোনি আসলে এ রকমই!’’ কিছু সময় বাদে বালাজি জানতে পারেন, ধোনি কত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বলছেন, ‘‘যখন জানলাম, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ধোনি অবসর নিয়েছে, ব্যাপারটা বোধগম্য হতে একটু সময় লেগেছিল। ধোনি যেন পারিপার্শ্বিক সব কিছু নিয়েই নিরাসক্ত।’’ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আগেই দুবাই পৌঁছে গিয়েছিল। এ দিন চলে এলেন আরসিবি-র দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা।