কাঠগড়ায়: রাহুল এবং হার্দিককে নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। ফাইল চিত্র
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এ বার না মাঠের বাইরে থাকতে হয় হার্দিক পাণ্ড্য-কে এল রাহুলকে। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, দু’টো ওয়ান ডে ম্যাচের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে এই দুই ক্রিকেটারকে। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচের দু’টোতেই খেলা হবে না এই দুই ক্রিকেটারের।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে থাকা কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘হার্দিকের জবাবে আমি আদৌ সন্তুষ্ট নই। আমি চাই, এই দুই ক্রিকেটারের দু’ম্যাচ নির্বাসন হোক। আমি সেই সুপারিশও করেছি। এখন ডায়ানা ওর মতামত জানাক।’’ দুই সদস্যের সিওএ-তে রাই ছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন মহিলা ভারতীয় ক্রিকেটার ডায়ানা এডুলজি। তিনি এ ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আইনি দফতরের পরামর্শ চেয়েছেন।
একটি টিভি শোয়ে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ঝামেলায় জড়িয়েছেন হার্দিক। যেখানে হাজির ছিলেন রাহুলও। হার্দিক ওই শোয়ে মেয়েদের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নানা কথা বলেছিলেন। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। হার্দিক পরে ক্ষমাও চেয়ে নেন টুইটারে। কিন্তু তার পরেও বোর্ড এই দুই ক্রিকেটারকে শো-কজ করে। যে শো-কজের জবাবে ফের ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার করেন হার্দিক। রাহুলের কাছ থেকে অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: যোগ্যতাই নেই আমাদের, সাফ বলছেন অরুণ
বৃহস্পতিবার রাই আরও বলেন, ‘‘ডায়ানা এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ চেয়েছে। ওর মতামত পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমার ব্যক্তিগত মত হল, অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে। যা কোনও ভাবেই মানা যায় না।’’ এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা জানতে চেয়ে বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সি কে খন্না, সচিব অমিতাভ চৌধুরী এবং কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ডায়ানা। অনিরুদ্ধ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, দুই ক্রিকেটারেরই নির্বাসন চান তিনি।
শুধু এখানেই শেষ নয়। অনিরুদ্ধ এও মনে করেন, এই ধরনের কথাবার্তা বলে নিজেকে ক্রিকেট জুয়াড়িদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ফেলতে পারেন হার্দিক। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এডুলজিকে পাঠানো তাঁর ই-মেলে অনিরুদ্ধ লিখেছেন, ‘‘যে সব কথা বলা হয়েছে টক শোয়ে, তার পরে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার খুব সহজেই অপরাধ জগতের নিশানায় চলে আসবে।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আইসিসি দুর্নীতিদমন শাখার তরফে প্রথমেই ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া হয়, মধুচক্রের ফাঁদ থেকে সতর্ক থাকতে। কিন্তু ওই ক্রিকেটারের মন্তব্য থেকে এ রকম ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, একে ফাঁদে ফেলা যেতেই পারে।’’ অনিরুদ্ধ তাঁর ই-মেলে এই প্রশ্নও তুলেছেন যে, কী ভাবে ওই শোয়ে যেতে পারলেন বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারেরা? কে এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে? শুধু অনিরুদ্ধই নন, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সি কে খন্নাও সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের ‘‘কড়া শাস্তি’’ দাবি করেছেন।