হলফনামা জমা দিলেন ক্ষুব্ধ লক্ষ্মণ

হায়দরাবাদের এই প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অম্বাডসমানকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিলেন, বিনোদ রাইয়ের নেতৃত্বাধীন প্রশাসকদের কমিটি এখনও পর্যন্ত ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে তাঁদের ভূমিকা কী, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১৫
Share:

ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ১৩৪ টেস্টে ৮৭৮১ রান করেছেন তিনি। নম্র স্বভাবের ক্রিকেটার হিসেবেই তাঁর পরিচয়। সেই ভি ভি এস লক্ষ্মণ তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগে কড়া জবাব দিলেন।

Advertisement

হায়দরাবাদের এই প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অম্বাডসমানকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিলেন, বিনোদ রাইয়ের নেতৃত্বাধীন প্রশাসকদের কমিটি এখনও পর্যন্ত ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে তাঁদের ভূমিকা কী, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি। একই সঙ্গে লক্ষ্মণ জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের কোচ নির্বাচনের ব্যাপারে তাঁদের মতামত দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও ভূমিকা দেওয়া হয়নি তাঁদের। যদিও তার আগে আরও অনেক দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে নাকি জানানো হয়েছিল তাঁদের। এমনই দাবি লক্ষ্মণের। কড়া ভাষায় তিনি বোর্ডের অম্বাডসমান ও নীতি আধিকারিককে জানিয়ে দিয়েছেন স্বার্থ সংঘাতের নীতি লঙ্ঘন করেছেন এই অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ, নিজের দাবিকে সত্য প্রমাণিত করার জন্য প্রমাণ রয়েছে তাঁর হাতে।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে নিজের হলফনামা আইনজীবীর মাধ্যমে পেশ করে লক্ষ্মণ জানিয়েছেন, ‘‘২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রশাসকদের কমিটির কাছে লিখিত ভাবে জানতে চেয়েছিলাম আমাদের দায়িত্বের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব আসেনি। ২০১৫ সালে বোর্ডের তরফে যে চিঠিতে জানানো হয়েছিল ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছি। তার মেয়াদকাল কিছু লেখা ছিল না।’’ সপ্তাহ খানেক আগে মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত অভিযোগ এনেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণ স্বার্থ সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তার পরেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অম্বাডসমান লক্ষ্মণ ও সচিনকে লিখিত বক্তব্য জানাতে বলে। হলফনামায় লক্ষ্মণ জানিয়েছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটের উৎকর্ষ বাড়ানোর জন্যই ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে এসেছিলাম। বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতকে শ্রেষ্ঠ শক্তি হিসেবে তুলে ধরার চ্যালেঞ্জটাই খেলা ছাড়ার পরে নিতে চেয়েছিলাম। যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা-ও ভিত্তিহীন। কারণ, আমরা কোচ বা খেলোয়াড়দের নির্বাচন করি না। আর আমাদের কমিটিও স্থায়ী কোনও কমিটি নয়।’’ লক্ষ্মণ আরও বলেছেন, ‘‘২০১৫ সালে ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে যখন নেওয়া হয়, তখন আমাদের বলা হয়েছিল বিদেশে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স, তরুণ ক্রিকেটারদের কী ভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ স্তর থেকে ভারত এ ও সিনিয়র ভারতীয় দলে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, পেসাররা যাতে ক্লান্ত না হয়ে পড়ে, স্পিনারদের উৎকর্ষ বাড়ানো—এ সবই রাখা হয়েছিল। কিন্তু এক বার কোচ নির্বাচন ও এক বার জুনিয়র নির্বাচক বাছাই ছাড়া আমাদের ডাকা হয়নি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement