ভারতীয় টিমকে ঘিরে এত চোট-আঘাতের খবরাখবর, প্লেয়ারদের ফর্ম নিয়ে আশঙ্কা দেখাটেখার পর একটা কথা মনে আমার খুব মনে হচ্ছে।
যা পরিস্থিতি, তাতে তিন ফাস্ট বোলারে যাওয়া উচিত নয়। দু’জন ফাস্ট বোলার থাক। আর স্পিনারও রাখা দরকার টিমে দু’টো।
বিশ্বকাপে যা গ্রুপ তাতে কোয়ার্টার ফাইনাল ওঠা সমস্যা হবে না। কিন্তু সেমিফাইনালে ভারত সহজ প্রতিপক্ষ পাবে না কঠিন, নির্ভর করবে গ্রুপে ধোনিরা উপরে থাকল না পরে। রবীন্দ্র জাডেজা, ইশান্ত শর্মা বা ভুবনেশ্বর কুমার ফিট হবে কি না, এখনও জানি না। সব দেখেশুনে একটা কম্বিনেশন আমার মাথায় আসছে। বিশ্বকাপে ছ’জন ব্যাটসম্যান, এক জন ব্যাটিং অলরাউন্ডার, দু’জন বোলিং অলরাউন্ডার, দু’জন ফাস্ট বোলার নিয়ে নামাটাই বোধহয় ঠিক হবে। সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে লাভ নেই। ছ’জন ব্যাটসম্যান যদি না পারে, তা হলে সাত জনও পারবে না। আর পেসার কমিয়ে দুই স্পিনারে যেতে বলছি কারণ, স্পিনারদের প্রথমত ফিটনেস নিয়ে সমস্যা নেই। তা ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাস বলে, আমাদের পেসারদের চেয়ে স্পিনাররা ওয়ান ডে-তে কম মার খায়। এটা ঠিক যে, অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে অত টার্ন থাকবে না। কিন্তু তার পরেও অক্ষর পটেল বা অশ্বিনকে মারা সোজা হবে না বোধহয়।
যে ছ’জন ব্যাটসম্যানকে টিমে চাইছি তাদের মধ্যে শিখর ধবনকে রাখব। ও অস্ট্রেলিয়ায় শেষ ম্যাচে ৩৮ করেছে। আত্মবিশ্বাস ফিরছে আস্তে আস্তে। ওর সঙ্গে ওপেন করুক রাহানে। মুম্বই ঘরানার ক্রিকেটটা খেলে ও। তিনে রোহিত শর্মা, চারে বিরাট কোহলি। পাঁচে রায়না আর ছয়ে ধোনি। ধোনি পরে থাকলে শেষ দশ ওভারে দরকারে ফিনিশ করবে। দরকারে বড় রান তুলবে। সাত নম্বরে চাই স্টুয়ার্ট বিনিকে। যে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মিডিয়াম পেসটাও করবে। দুই ফাস্ট বোলারের সঙ্গে তৃতীয় পেসার ও। অক্ষর পটেলকেও চাই। ব্যাটটাও করতে পারে। তার পর বাছতে হবে জাডেজা আর অশ্বিনের মধ্যে এক জনকে। ফিট থাকলে আর গত বছরের ফর্মে থাকলে চোখ বুজে জাডেজা বলতাম। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় এখন। বিপক্ষে যদি ডান হাতি ব্যাটসম্যান বেশি থাকে, তা হলে জাডেজাকে নেওয়া যেতে পারে। আর বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান বেশি থাকলে আসুক অশ্বিন। পড়ে থাকল দু’জন ফাস্ট বোলার। ইশান্ত বা ভুবনেশ্বরের মধ্যে কেউ এক জন ফিট না হলে লড়াইয়ে মোহিত শর্মার ঢোকা উচিত। আর শামি আর উমেশ যাদবের মধ্যে নেওয়া উচিত এক জনকে।
মোটামুটি এটা আমার বিশ্বকাপের ফার্স্ট ইলেভেন। যারা মাঠে নামলে খারাপ করবে বলে মনে হয় না।