অভিনব: রাজকোটের আকর্ষণ তুলে ধরলেন পূজারা। ফাইল চিত্র
বাইশ গজে ভারতকে অনেক বার পথ দেখানোর পরে এ বার রাজকোট ভ্রমণার্থীদের জন্য ‘গাইড’ হলেন চেতেশ্বর পূজারা!
রাজকোটের ছেলে পূজারার শহরেই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। সেই টেস্ট আড়াই দিনে জিতে ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন বিশ্রামে। তারই মাঝে বিসিসিআই টিভি-তে দেখা গেল ‘গাইড’ পূজারাকে।
রাজকোট নিয়ে বলার সময় তিনটি দ্রষ্টব্যের কথা বলেন পূজারা। ‘‘আমি রাজকোটের ছেলে আর আপনারা এখন আমার শহরে আছেন,’’ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পোস্ট করা ওয়েবসাইটে বলেছেন পূজারা। তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘আর এখানে এলে অন্তত তিনটি জিনিসের সঙ্গে আপনাকে পরিচিত হতেই হবে।’’ কী সেই তিনটি জিনিস, তাও বলেছেন পূজারা।
এক নম্বর, গুজরাতি থালি। পুজারা বলেছেন, ‘‘রাজকোটে এলে আপনাকে গুজরাতি থালি খেতেই হবে। অনেক রকমের থালি পাওয়া যায় এখানে। তবে আমার সব চেয়ে পছন্দ হল, বজরা কা রোটি আর খিচড়ি। এই দুটো খেতেই হবে। এর সঙ্গে থাকবে নানা সুস্বাদু মিষ্টি। যা আপনি কখনও বাদ দিতে পারবেন না।’’
পূজারার পছন্দের তালিকায় দু’নম্বর থাকছে গরবা নাচ। ভারতীয় ক্রিকেটের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘‘নবরাত্রির সময় যদি আপনারা এখানে আসেন, তা হলে অবশ্যই এই গরবা নাচ দেখতে ভুলবেন না।’’ গরবা নিয়ে তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘এটা একটা স্থানীয় উৎসব। গুজরাতের সংস্কৃতি ধরা পড়ে এই গরবা উৎসবে। গরবা নাচ শেখার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু এখনও নাচতে পারি না। কিন্তু এটা বলতে পারি, সব মিলিয়ে আবহটা দারুণ থাকে। স্থানীয় সংস্কৃতি আর উৎসবের স্বাদ নিতে গেলে আপনাকে এই গরবা নাচ দেখতেই হবে।’’
খাদ্য, সংস্কৃতির পরে রাজকোট ভ্রমণার্থীদের পূজারা নিয়ে যেতে চান ইতিহাসের রাস্তায়। তুলে আনেন মহাত্মা গাঁধীর ছোটবেলার স্কুলের কথা। আলফ্রেড হাই স্কুল। পূজারার কথায়, ‘‘রাজকোটে এলে আপনাদের এই স্কুলে আসতেই হবে। এখানেই আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গাঁধী পড়াশোনা করেছিলেন। এই স্কুলে এলে আপনি ভারতীয় ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারবেন।’’
নিজের শহরের প্রচারে নেমে বাইশ গজের বাইরে যে রকম অভিনবত্ব দেখালেন তিনি, সে রকম অভিনবত্ব প্রথম টেস্টেও দেখিয়েছেন পূজারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নামেন জলের বোতল পকেটে নিয়ে। যে বোতল থেকে বেশ কয়েক বার পুজারাকে জল খেতেও দেখা গিয়েছে। আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন খেলার মাঝে কোনও উইকেট পড়লে তবেই জল খাওয়া যেতে পারে। রাজকোটের গরমের জন্য পূজারা কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই তাই জলের বোতল সঙ্গে নিয়েই নেমেছিলেন।