মরিয়া: প্রাণবন্ত পিচে অশ্বিনদের গুরুত্ব কমছে। —ফাইল চিত্র।
বিদেশের আবহাওয়ায় খেলতে নামলে যে দুই স্পিনারকে রেখে দল গড়া কঠিন, স্বীকার করে নিলেন বিরাট কোহালি। বৃহস্পতিবার নাগপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি জানিয়ে দিলেন, ভারতের বাইরে ম্যাচ থাকলে এক স্পিনারই হয়তো জায়গা পাবেন।
দিন দুই আগেই আনন্দবাজারের খেলার পাতায় প্রথম এই ইঙ্গিত ছিল যে, ঘাসের পিচে অস্ত্র এখন মহম্মদ শামিরাই। দেশের মাঠে দারুণ সফল স্পিন জুটি আর. অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজার সেই রমরমা আরও না-ও দেখা যেতে পারে কারণ ভারতীয় দলের নজর এখন যতটা না স্পিনে, তার চেয়ে বেশি পেস বোলিংয়ে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রস্তুতিরও সময় নেই, ক্ষুব্ধ কোহালি
ঠিক সে রকমই যে হতে যাচ্ছে, এ দিন জানিয়ে গেলেও কোহালিও। বললেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কী, একশো শতাংশ নিশ্চিত ভাবে আমি কথা দিতে পারব না যে, বিদেশের আবহাওয়ায় দু’জন স্পিনার খেলানো সম্ভব হবে। দলের ভারসাম্যটাও আমাদের দেখতে হবে।’’ বিদেশের মাঠে তিন পেসার খেলবে। হার্দিক পাণ্ড্য অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন। বাকি থাকবে একমাত্র স্পিনারের জায়গা। সেখানে লড়াই হবে অশ্বিন, জাডেজা এবং কুলদীপ যাদবের মধ্যে। কোহালি যদিও মনে করছেন, অলরাউন্ডার হিসেবেও যোগ্যতা অর্জন করার ক্ষমতা রয়েছে অশ্বিন বা জাডেজার। ‘‘ওরা দু’জনেই ব্যাট হাতেও নিজেদের প্রমাণ করেছে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, কঠিন সময়ে ওরা অবদান রেখেছে,’’ যোগ করতে চান তিনি। কীভাবে ঠিক হবে কে খেলবেন? অশ্বিন না জাডেজা? অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘‘অনেক কিছুর উপর নির্ভর করতে পারে। প্রতিপক্ষ দলে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ক’জন, ডান হাতি ক’জন। ডান হাতি থাকলে বাঁ হাতি স্পিনারকে খেলাব কি না বা বাঁ হাতি থাকলে ডানহাতি স্পিনার আসবে কি না। এ সব নানা রকম ব্যাপার দেখতে হয়।’’
স্পিনারদের গুরুত্ব যে কমতে শুরু করেছে, সেটা আরও বোঝা গেল যখন কোহালি বলে দিলেন, পেস বোলিং অলরাউন্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছেন তাঁরা। হার্দিক পাণ্ডকে এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। নাগপুর টেস্টে দলে নেওয়া হয়েছে বিজয় শঙ্করকে। তিনি জোরে বল করতে পারেন, ব্যাটের হাত বেশ ভাল। হার্দিকের সঙ্গে বিজয় শঙ্করকেও তৈরি করা হবে। নাগপুরেই তাঁকে খেলানো না-ও হতে পারে। সবুজ পিচ হয়েছে বলে চাউর হয়ে গেলেও ইডেনের মতো প্রাণবন্ত বাইশ গজ হচ্ছে না নাগপুরে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার নন, সম্ভবত দুই স্পিনারকেই রেখে দিচ্ছেন কোহালিরা। দলের তিন পেসার হবেন শামি, উমেশ এবং ইশান্ত শর্মা।