বুকির সঙ্গে কথোপকথন গোপন করার মাশুল দিচ্ছেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডারকে দু’বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু কে সেই বুকি, যাঁর জন্য প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারের কেরিয়ার আজ প্রশ্নের মুখে? ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
আইসিসি জানিয়েছে, অভিযুক্ত বুকির নাম দীপক আগরওয়াল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে পরিচিত দীপক আদতে হরিয়ানার সোনপতের বাসিন্দা ছিলেন। এখন থাকেন দুবাইয়ে। ভারতে একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিও চালান তিনি। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
আবুধাবিতে একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন সন্দেহজনক গতিবিধির জেরে তিনি আইসিসি-র নজরদারির আওতায় আসেন। তারপর তাঁকে লাগাতার নজরে রেখেছিল আইসিসি-র দুর্নীতিদমন শাখা। শাকিব আল হাসানের সঙ্গে তাঁর ঘনঘন কথোপকথন প্রকাশ্যে আনা হয়। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
জানা গিয়েছে, হরিয়ানাতেই বেটিং চক্র শুরু করেছিলেন দীপক। সেখানে এই কাজে আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় তিনি দুবাই চলে যান। তবে আইসিসি-র ধারণা, দীপক চক্রের মূল পাণ্ডা নন। বরং, তিনি কাজ করেন গ্বালিয়রের এক বুকির জন্য। তাঁকেও নজরদারিতে রেখেছে আইসিসি। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
তদন্তে জানা গিয়েছে, দীপকের কাজ ছিল ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের প্রলুব্ধ করা। যাতে তাঁরা নির্দিষ্ট ম্যাচ নিয়ে তথ্য যোগান দেন। এখন ছোট ছোট ক্রিকেট লিগ ঘিরেও বাজি ধরা হয়। ফলে যে কোনও তথ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয়। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
দীপক প্রথমে ক্রিকেটারদের টার্গেট করতেন। তাঁরা যেখানে যেখানে খেলতে যেতেন, অনুসরণ করতেন দীপক। প্রাথমিক আলাপে কোনও নির্দিষ্ট ক্রিকেট লিগে খেলার জন্য বড় অঙ্কের টাকা অফার করতেন। ধীরে ধীরে ক্রিকেটারদের আস্থা অর্জন করে স্বরূপ ধারণ করতেন দীপক। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
একবার ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলেই ক্রিকেটারের কাছ থেকে ম্যাচ সংক্রান্ত তথ্য আদায় করার চেষ্টা করতেন দীপক। আইসিসি-র দাবি, শাকিবের সঙ্গে দীপকের প্রথম আলাপ ২০১৭-র মাঝ নভেম্বরে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শাকিব তখন খেলছেন ঢাকা ডিনামাইটস-এর হয়ে। জেরায়, নির্বাসিত অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, এক পরিচিতের মাধ্যমে তাঁর নম্বর পেয়েছিলেন বুকি দীপক আগরওয়াল। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
পরের বছর জানুয়ারিতে শাকিবের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করেন দীপক। সে সময় ঢাকায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবোয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ চলছিল। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার জন্য শাকিবকে শুভেচ্ছা জানান দীপক। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
অভিযোগ, দ্বিতীয় আলাপেই শাকিবকে তথ্য সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়। জানতে চাওয়া হয়, তিনি এখন কাজ করবেন, নাকি, আইপিএল অবধি অপেক্ষা করবেন? আইসিসির দাবি, ত্রিদেশীয় সিরিজে আগাগোড়া শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দীপকের। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
এরপর আবার যোগাযোগ আইপিএল-এর সময়ে। সে সময় শাকিব খেলছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে। তাঁর কাছে নির্দিষ্ট তথ্য চান দীপক। এ বার শাকিব তাঁকে বলেন, তিনি প্রথমে দীপকের সঙ্গে দেখা করতে চান। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
আইসিসি-কে শাকিব জানিয়েছেন, তিনি বুকিকে ম্যাচ সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেননি। কোনও অর্থও নেননি। কিন্তু বুকির সঙ্গে যোগাযোগেরও কোনও তথ্য তিনি আইসিসি-কে জানাননি। তার জেরেই এই শাস্তি। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, আম্পায়ার, স্কোরার যদি বুকিদের কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব পান, তা হলে আইসিসি বা সংশ্নিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখাকে তা জানানো বাধ্যতামূলক। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
বুকির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরে শাকিব গোটা ব্যাপারটাই গোপন করে গিয়েছিলেন। আইসিসি জানিয়েছে, ২ বছরের জন্য নির্বাসিত শাকিব। তবে সব শর্ত ঠিকঠাক মানলে এক বছর পরেই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)