বাংলা বনাম গুজরাত রঞ্জি যুদ্ধের রিপ্লে-র চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণের সময় যত এগোচ্ছে, নাটকীয়তাও তত যেন চরমে উঠছে।
কোনও দিন বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান (যারা রিপ্লে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে) বলে দিচ্ছেন, বাংলা রিপ্লে না পেলে তিনি ইস্তফা দেবেন। কোনও দিন আবার বিতর্ক সামলাতে নেমে পড়ছেন স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর।
সোমবার দ্বিতীয়টা হল। আজ, মঙ্গলবার মুম্বইয়ে বাংলা-গুজরাত রিপ্লে নিয়ে টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠক। ঘটনাচক্রে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন মুম্বইয়ে। টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠক ঘিরে তাঁকে সক্রিয় হতে দেখা যায় কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তার আগে অবশ্য ঘটনাপ্রবাহে ঢুকে পড়লেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। শোনা গেল, অনুরাগের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা হয়েছে কোনও কোনও সিএবি কর্তার। অনুরাগ নাকি বোর্ড সচিব অজয় শিরকে এবং টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেছেন। বাংলার রিপ্লে ভাগ্যে কী থাকবে, সময় বলবে। কিন্তু যতটুকু যা খবর, সোমবার রাত পর্যন্ত কিছুটা অ্যাডভান্টেজ সিএবি।
নয়াদিল্লিতে গত ৫ নভেম্বর ছিল বাংলা-গুজরাত ম্যাচ। কিন্তু অতিরিক্ত দূষণ এবং তীব্র ধোঁয়াশার কারণে তা বাতিল হয়ে যায় দু’দিনের মধ্যে। পরে রিপ্লের দিনক্ষণও ঘোষণা হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভায় নতুন নাটক বাঁধে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট শরদ পওয়ার ও তামিলনাড়ু সচিব কাশী বিশ্বনাথন প্রশ্ন তোলেন, কেন বাংলা রিপ্লে পাবে? কেন তারা বাকি সবার ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রিপ্লে খেলবে? দু’টো টিমের মধ্যে তো পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়া উচিত। বৈঠকে সিএবি-র দুই যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়া এবং সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ নিয়ে তীব্র বচসাও বাঁধে পওয়ারদের। যার পর একের পর এক নাটক। এবং শুধু অনুরাগের সঙ্গে যোগাযোগই নয়, ক্রিকেট সেন্টারে কড়া একটা চিঠিও পাঠাচ্ছে সিএবি। যে চিঠিতে প্লেয়িং কন্ডিশনের নিয়মাবলী থেকে শুরু করে সংবাদপত্রে বেরনো ম্যাচ রেফারির ‘‘পয়েন্ট ভাগাভাগি সম্ভব নয়’ জাতীয় মন্তব্য— সবই তুলে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে, রিপ্লের সিদ্ধান্ত বোর্ডের। তার নতুন করে রিভিউ করার মানে নেই। ক্রিকেটের স্বার্থেই সেটা করা উচিত।