মেয়েদের সাফ কাপে ধুন্ধুমার
Sports News

রেফারি নিগ্রহের অভিযোগ উঠল ভূটান কোচের বিরুদ্ধে

খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে রেফারি অস্মিতা মনানধর তখন মাঠ ছাড়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। রিজার্ভ বেঞ্চের সামনে পৌঁছতেই হঠাৎ ভূটানের কোরিয়ান কোচ সাং জে লি তাঁকে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করে দেন।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৫০
Share:

খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে রেফারি অস্মিতা মনানধর তখন মাঠ ছাড়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। রিজার্ভ বেঞ্চের সামনে পৌঁছতেই হঠাৎ ভূটানের কোরিয়ান কোচ সাং জে লি তাঁকে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করে দেন। কেন তাঁদের অন্যায় ভাবে হারিয়ে দেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলে রেফারির গায়ে হাত দেন, তাঁকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার এই নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় মেয়েদের সাফ কাপে।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ভূটান-মলদ্বীপ ম্যাচের পর এই ঘটনায় অনেকেই হকচকিয়ে যান। ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নেপালের রেফারি অস্মিতার বিরুদ্ধে ভূটানের কোচের অভিযোগ, দ্বিতীয়ার্ধে ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করছিলেন মলদ্বীপের ফুটবলাররা। তাঁদের কারও সামান্য আঘাত লাগলেও মাঠে শুয়ে পড়ছিলেন। তাতে সময় নষ্ট হচ্ছিল। অথচ রেফারি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন। ভূটান তখন লড়াইতে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছিল। কোচের আরও অভিযোগ, অন্তত দশ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে অথচ তার জন্য রেফারি অতিরিক্ত মাত্র চার মিনিট খেলিয়েছেন।

প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করে ভূটান। খেলা শেষের কয়েক মিনিট আগে মলদ্বীপের ফুটবলার ফাদুয়া জাহির আরেকটি গোল দেন।

Advertisement

ভূটানের কোচ অবশ্য রেফারি নিগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘দ্বিতীয়ার্ধে ৪৫ মিনিট খেলার মধ্যে আমরা ৩০ মিনিটের বেশি খেলিনি। অথচ রেফারি নষ্ট সময়ের জন্য মাত্র ৪ মিনিট সময় বেশি দিয়েছেন। আমি তাঁকে সে কথাই বলেছি। এটা জাতীয় ফুটবল ম্যাচ হচ্ছে। অথচ খেলায় এ ভাবে ফুটবলাররা সময় নষ্ট করছেন আর রেফারি দেখবেন না? সেটাই বলেছি। গায়ে হাত তুলিনি।’’

ম্যাচের শেষে ওই ঘটনার সময় চমকে যান ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও। শেষে ম্যাচ কমিশনার গৌতম কর পরিস্থিতি সামলান। মাঠে উপস্থিত ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও জানান, অন্যায় ভাবে রেফারির গায়ে হাত তোলা হয়েছে। সাফের মতো ফুটবল ম্যাচে এই ঘটনাকে ঘিরে হইচই পড়েছে। মলদ্বীপের কোচ নাওকো কাওয়ামোটো বলেন, ‘‘আমি ঘটনায় আশ্চর্য হয়েছি। রেফারির সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। মাঠে ফুটবলাররা ঠিক করছে কি না তা নিয়ে রেফারি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত।’’

নেপাল গ্রুপের সব ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে উঠল। এদিন তারা ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। গোলটি আত্মঘাতী। নেপালের পাওয়া কর্নার কিক শ্রীলঙ্কার ফুটবলার আর গুনাবর্ধনার শরীর ছুঁয়ে গোলে ঢুকে যায়। মলদ্বীপ রানার্স হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছল। তিনটি ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে দুটিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement