স্বীকৃতি: মোহনবাগান রত্ন প্রদীপ চৌধুরী। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
সম্প্রীতি, নস্ট্যালজিয়া, স্বীকৃতি, সঙ্কল্প, আবেগের টুকরো টুকরো কোলাজ ছিলই। সঙ্গে ছিলেন ষাট থেকে নতুন সহস্রাব্দের এক ঝাঁক প্রাক্তন ও বর্তমান ফুটবলার। আর এই সব আবেগঘন মুহূর্ত নিয়েই পালিত হল মোহনবাগান দিবস।
রবিবার দুপুর থেকেই ক্লাব তাঁবুতে ভিড় জমিয়েছিলেন সদস্য-সমর্থকরা। যা দেখে এ বারের ‘মোহনবাগান রত্ন’ প্রদীপ চৌধুরী আবেগ ভরা গলায় বলেই দিলেন, ‘‘কোনও দিন মোহনবাগানে খেলব সেটাই ভাবতে পারতাম না। সেখানে আজ আমি মোহনবাগান রত্ন। জীবনের সেরা সম্মান!’’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গত ছয় দশকে ক্লাবের অধিনায়কদের ‘গোল্ড কার্ড’ দিয়ে সম্মান জানানো হয়। যে বিশেষ কার্ড নিয়ে এ বার থেকে ক্লাবের প্রাক্তন অধিনায়করা সদস্য গ্যালারির বিশেষ ব্লকে বসে খেলা দেখতে পারবেন। সচিব যার প্রথম কার্ডটি তুলে দেন ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার চুনী গোস্বামীর হাতে।
‘মোহনবাগান রত্ন’ হিসেবে প্রদীপ চৌধুরীর হাতে তুলে দেওয়া হয় উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক ও এক লক্ষ টাকার চেক। এ ছাড়াও বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে সম্মানিত হন, শিল্টন পাল। সবুজ-মেরুন শিবিরের এই গোলকিপার এ দিন মা-কে নিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন পুরস্কার নিতে। বর্ষসেরা হওয়ার জন্য প্রয়াত করুণাশঙ্কর ভট্টাচার্য ট্রফি হাতে বলেও গেলেন, ‘‘এ বার কলকাতা লিগটা জিততে হবে। এই ট্রফিটাই প্রথম লক্ষ।’’
এ ছাড়াও বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে সম্মানিত হন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। বর্ষসেরা যুব ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন সৌরভ দাস এবং বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলা রহিম আলিকে।
সচিবের আমন্ত্রণে হাজির ছিলেন প্রাক্তন অর্থসচিব ও সহ-সচিবও। দু’জনেই বলে যান, মতভেদ থাকলেও ক্লাবের পাশে তাঁরা রয়েছেন। সুখদেব সিংহ, অভিষেক আম্বেকর ও মইনুদ্দিন-সহ তিন ফুটবলার কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচ থেকেই যাতে খেলতে পারেন, সে ব্যাপারে সচিবকে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।