খুব অল্পের জন্য ইস্টবেঙ্গল পারেনি। ডেম্পোও সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এ বার ভারতীয় ক্লাবগুলির মধ্যে বেঙ্গালুরু এফসি সেই হার্ডল টপকানোর সামনে। নতুন ইতিহাস গড়ার চ্যালেঞ্জ। আজ বুধবার বেঙ্গালুরু যদি এএফসি কাপের ফাইনালে উঠতে পারে, তবে ভারতীয় ক্লাবগুলোর মধ্যে একমাত্র এই কৃতিত্ব অর্জন করবে সুনীল ছেত্রীদের টিমই। কাজটা অবশ্য খুব একটা কঠিন নয়। আজ মালেশিয়ায় জহর দারুল এফ সি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করতে পারলেই ফাইনালে চলে যাবে বেঙ্গালুরু। কারণ প্রথম লেগের ম্যাচে মালয়েশিয়ায় গিয়ে ১-১ ড্র করে এসেছে অ্যালবার্ট রোকার টিম। ড্র করলে অ্যাওয়ে ম্যাচের গোল করার সুবাদে ফাইনালে চলে যাবে বেঙ্গালুরু। সুনীলদের সুবিধা জহর দারুল নিজেদের প্রথম একাদশের তিন জন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে পাবে না। মার্টিন লুসেরো, পেরেইরা দিয়াজ, আমরি ইহাইহা-রা কার্ড সমস্যার জন্য আজ নেই। তবে বেঙ্গালুরু কোচ রোকার দাবি অন্য। তাঁর মতে, ‘‘ওরা তিন জন প্লেয়ারকে পাবে না বলে ওদের হাল্কা ভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। সেটা নিলে পাল্টা চাপে পড়তে হবে আমাদের। কারণ ওদের পরিবর্ত ফুটবলাররাও মালয়েশিয়ার জাতীয় দলে খেলে।’’ বেঙ্গালুরুও যেমন চোটের জন্য উদান্ত সিংহকে পাবে না। এ দিকে সুনীলদের গোলের খরা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন রোকা। বার্সেলোনার প্রাক্তন সহকারী কোচ অবশ্য বলেছেন, ‘‘এটা ঠিক আমরা সব সময় গোল পাচ্ছি না। তবে সেটা ব্যালান্স করে দিচ্ছে আমার ডিফেন্ডাররা। আমরা গোল পাওয়ার জন্য বিশেষ অনুশীলন করছি। পাশাপাশি নিজেদের ডিফেন্সকেও আরও সংগঠিত করছি।’’ এ দিকে মোহনবাগান আর মহমেডান এ দিন শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বেঙ্গালুরুকে। আজ সেমিফাইনালে কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থন থাকবে সুনীলদের জন্যই।
বেঙ্গালুরু-জহর দারুল আজ পর্যন্ত মোট চার ম্যাচ নিজেদের মধ্যে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি ম্যাচই জিতেছে মালয়েশিয়ার টিম। একটা ম্যাচ ড্র হয়েছে। এই পরিসংখ্যানটা আজ বেঙ্গালুরু বদলাতে পারে কি না, সেটাই দেখার।