উল্লাস: কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মহারাষ্ট্রকে হারিয়ে ড্রেসিংরুমে উচ্ছ্বসিত বাংলার ক্রিকেটাররা। টুইটার
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ‘ফিনিশার’-এর ঝলক দেখালেও বিজয় হজারে ট্রফিতে বুধবার শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে শিরোনামে বাংলা।
দিল্লির পালাম বিমানবন্দরের মাঠে ছক্কা মেরে ঝাড়খণ্ডকে জেতালেন ধোনি। সেখানে হল অল্প রানের খেলা। আর ফিরোজ শা কোটলায় বাংলার ম্যাচটা হল বড় রানের দ্বৈরথ। মহারাষ্ট্রের ৩১৯ তাড়া করে জিতল বাংলা। এক বল বাকি থাকতে চার মেরে জিতিয়ে দেন আমির গনি। তার আগে গনি আরও একটা কাজের কাজ করেছেন। মহারাষ্ট্রের তারকা ক্রিকেটার কেদার যাদবকে ফেরালেন ৪৫ বলে ৪৪ করার পরে।
অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ম্যাচের পরে দিল্লি থেকে উচ্ছ্বসিত ভাবে ফোনে বললেন, ‘‘আমাদের অনেকের ক্রিকেট কেরিয়ারেই অন্যতম সেরা জয়। এত রান তাড়া করে আমরা আগে কখনও জিতেছি বলে মনে পড়ছে না।’’
বাংলার জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখলেন তিন জন। শ্রীবৎস গোস্বামী (৮৮ বলে ৭৪), অনুষ্টুপ মজুমদার (৫৯ বলে ৬৬) এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৫১ বলে ৬০)। বড় রান তাড়া করতে গিয়েও আস্কিং রেট বাড়তে দেননি অনুষ্টুপ এবং সুদীপ। পর পর শ্রীবৎস এবং মনোজের উইকেট হারিয়ে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলা। একটা সময় তারা হয়ে গিয়েছিল ১৮৭-৪। সেখান থেকে এই দু’জনে মিলে দলকে নিয়ে যান ৩০৪ রানের স্কোরে। অনুষ্টুপ যখন আউট হলেন তখন করতে হবে ১০ বলে ১৪। পঞ্চম উইকেটে সুদীপ ও অনুষ্টুপের ১১৭ রান যোগ করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকল। অধিনায়ক মনোজ করলেন ৫০ বলে ৪০।
ফিনিশার: শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে ঝাড়খণ্ডকে জেতালেন ধোনি।
আরও টুকরো টুকরো কয়েকটি ব্যাপার অবদান রাখল বাংলার জয়ে। যেমন এই ম্যাচেই অভিষেক ঘটানো অগ্নিভ পান-কে তিন নম্বরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত খেটে গেল দু’টো দিক দিয়েই। একে তো অগ্নিভ ৩৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ভিত গড়ে দিয়ে গেলেন। পাশাপাশি, যিনি তিন নম্বরে নামেন সেই সুদীপ চট্টোপাধ্যায় পাঁচ নম্বরে নেমে ‘ফিনিশার’-এর ভূমিকা দারুণ ভাবে পালন করে দিলেন। আগামিকাল, শুক্রবার সেমিফাইনালে ঝাড়খণ্ডের ‘ফিনিশার’ ধোনি। বাংলার দিকে থাকলেন সুদীপ।
আরও পড়ুন: শান্তি-বৈঠকে গরহাজির স্মিথ, অশান্তির নিষ্পত্তি হল না
তেমনই প্রতিপক্ষ ৩১৮ রানের বড় স্কোর তুলেছে দেখেও মনোবল পড়তে দেননি বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। বিরতিতে তিনি ড্রেসিংরুমে খুব উত্তেজক কথাবার্তা বলে তাতিয়ে দেন মনোজ-দের। বোর্ড থেকে এখন চেষ্টা করা হচ্ছে, শুক্রবারের সেমিফাইনাল পালাম মাঠে না করে কোটলায় করার। ধোনির নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন চেষ্টা।
মনোজ বললেন, ‘‘ধোনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ঝাড়খণ্ডকে। ও রান করে দিচ্ছে। তবে আমাদের টিমও খুব ভাল খেলছে। বিশেষ করে এই ম্যাচটা জিতে টিম খুব আত্মবিশ্বাসী।’’ উঠছে এ বার ফাইনালের ধ্বনি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: মহারাষ্ট্র ৩১৮-৬ (রাহুল ত্রিপাঠী ৯৫, নিখিল নায়েক ৬৩)। বাংলা ৩২০-৬ (শ্রীবৎস গোস্বামী ৭৪, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৬০, অনুষ্টুপ মজুমদার ৬৬)। বাংলা ৪ উইকেটে জয়ী।