লক্ষ্য: নতুন টুর্নামেন্টে বাংলাকে সেরা করার চ্যালেঞ্জ মনোজের।
আজ, সোমবার বিজয় হাজারে ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে চলেছে মনোজ তিওয়ারিরা। অথচ তার আগে ঈশান পোড়েলের চোট নিয়ে উদ্বেগ বাংলা শিবিরে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাঁ পায়ের গোড়ালির চোটটি এখনও পুরোপুরি সারেনি ঈশানের। শোনা গিয়েছে, ভারতীয় দলের ফিজিওর সঙ্গে বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি নাকি ঈশানকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। সে ক্ষেত্রে বিজয় হাজারে টুর্নামেন্টে ঈশানকে বাংলা শিবির পাবে কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।
যদিও তা নিয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। অল্পের জন্য সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা। রঞ্জি ট্রফির মঞ্চেও সেমিফাইনাল থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল মনোজদের। তবে বিজয় হাজারে ট্রফিকেই তাঁদের ভুল সংশোধন করার মঞ্চ হিসেবে দেখছেন বাংলার অধিনায়ক। সোমবার ধর্মশালায় গ্রুপ ‘বি’-তে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে নামার আগে এ কথাই জানালেন বাংলার অধিনায়ক।
গত তিনটি মরসুম ধরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভাল পারর্ফম করে চলেছেন মনোজ তিওয়ারিরা। গত বছর তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ৩৭ রানে হারতে হয়েছিল মনোজদের। তাই এ বারেও প্রথম ম্যাচ থেকেই ঝাঁপানোর জন্য মরিয়া মনোজরা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জিততে হলে কঠিন প্রতিপক্ষদের হারিয়েই উঠতে হবে। অজুহাতের কোনও জায়গা নেই।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ থেকেই আমরা তৈরি। দলগত প্রচেষ্টা দিয়েই আমাদের লড়তে হবে।’’
প্রথম ম্যাচে গোড়ালির চোটে খেলতে পারবেন না বাংলার সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় দেখা যেতে পারে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান অভিষেক রামনকে। রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচ থেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি।
হিমাচল প্রদেশের উইকেট সাধারণত বেশ দ্রুত গতির হয়। সেই দিক থেকে কোনও রকম অসুবিধে কি হতে পারে বাংলার ব্যাটসম্যানদের? মনোজ বলেন, ‘‘এখানে আসার আগে আমরা ভাল অনুশীলন করেছি। পাশাপাশি এখানেও আমরা নিজেদের তৈরি করছি। দলের প্রত্যেকে খুব ভাল ছন্দে রয়েছে। এই আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখতে পারলেই আমরা সফল হব।’’
বিপক্ষে রাহুল ত্রিপাঠী, অঙ্কিত বাওনে, বিজয় জোলের মতো শক্তিশালী ক্রিকেটারেরা রয়েছেন। যদিও সেই বিষয়ে কোনও বাড়তি চাপ নেই বঙ্গ অধিনায়কের। অন্য দিকে ঈশানকে না পাওয়া গেলে বাংলার পেস বিভাগে ভরসা সেই অশোক ডিন্ডা। মুস্তাক আলি ট্রফির শেষ ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে তাঁর দুরন্ত স্পেল জিতিয়েছিল বাংলাকে। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ও গোটা টুর্নামেন্টে বাংলার ভরসা সেই অশোক ডিন্ডাই হন কি না এটাই দেখার।