জিতেও বিদায় বাংলার

ম্যাচ শেষে বাংলার অধিনায়ক জানালেন যে, ফ্লাড লাইটে খেলার অভিজ্ঞতার অভাবেই হয়তো হারের মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাকে।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৮
Share:

জয়ী: তামিলনাড়ুকে হারিয়ে মনোজরা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সাত উইকেটে জিতেও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির মূল পর্ব থেকে ছিটকে গেল বাংলা। গ্রুপ ‘বি’ থেকে বাংলাকে উঠতে গেলে বরোদার বিরুদ্ধে সকােলর ম্যাচে উত্তর প্রদেশকে কম ব্যবধানে হারতে হতো। ব্যবধান কম থাকলেও ম্যাচটি জিতেছেন সুরেশ রায়নারা। তাই এ বারের মতো জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন শেষ মনোজ তিওয়ারিদের।

Advertisement

ম্যাচ শেষে বাংলার অধিনায়ক জানালেন যে, ফ্লাড লাইটে খেলার অভিজ্ঞতার অভাবেই হয়তো হারের মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাকে। তা ছাড়া এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার হওয়াতে চাপে পড়ে যাচ্ছেন দলের অনেক ক্রিকেটার। মনোজ বলেন, ‘‘বরোদার বিরুদ্ধে ইডেনে ম্যাচ হারার কোনও যুক্তি নেই। ওই উইকেটে স্পিনারকে উইকেট ছুড়ে দিয়েছি আমরা। তারই সঙ্গে সরাসরি সম্প্রচার হওয়াতে বাড়তি চাপ নিয়ে ফেলেছে দলের কয়েক জন ক্রিকেটার। তবে শেষ দু’টি ম্যাচে আমরা ভাল ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাস মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তামিলনাড়ু। বুধবারের ম্যাচেও বিপক্ষের প্রথম তিন তারকা ব্যাটসম্যানকে আউট করেন দলের বাঁ-হাতি পেসার কণিষ্ক শেঠ। তাঁর দ্বিতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সদ্য ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ওয়াশিংটন সুন্দর। ১৭ বলে ২২ রান করে শ্রীবৎসের তালুবন্দি হন ওয়াশিংটন। বাবা অপরাজিৎকে (৩) আউট করলেন কণিষ্কই। এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়াতে ম্যাচে ফেরার কিছুটা লড়াই শুরু করেছিলেন দলের অধিনায়ক বিজয় শঙ্কর (২৭)। কিন্তু আমির গনির একটি সোজা বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হলেন তিনি।

Advertisement

বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ন’উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৯ রান করে তামিলনাড়ু। জবাবে বাইশ বল বাকি থাকতেই বাংলাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের ৯৫ রানের পার্টনারশিপ। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে নিজের ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি শ্রীবৎস। বাংলার ইনিংসের প্রথম বলেই তাঁকে কট ও বোল্ড করেন ওয়াশিংটন। ২১ রানে আউট হলেন বিবেকও (২১)। অথচ পরপর দু’দিন অর্ধশতরান করলেন দলের সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। ৪৭ বলে ৫১ রানে অপরাজিত তিনি।

ইডেনে পরপর দু’ম্যাচে হার, অথচ যাদবপুর ক্যাম্পাসের মাঠে খেলা মাত্রই পরপর দু’ম্যাচে জিতেছেন মনোজ তিওয়ারিরা। এর কারণ জানতে চাইলে মনোজ বলেন, ‘‘প্রথম দু’ম্যাচে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাই হেরেছি। তবে যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ভাল পারফর্ম করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’’

দুই গ্রুপের যা অবস্থা তাতে বৃহস্পতিবার দু’টি ম্যাচ সেমিফাইনালের মর্যাদা পেতে চলেছে। সকালে যাদবপুর ক্যাম্পাসে দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াই উত্তর প্রদেশের। দুপুর ১টায় ইডেনে পঞ্জাবের মুখোমুখি রাজস্থান। প্রত্যেকেই দু’টি করে ম্যাচ জিতে রয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার এই দুই ম্যাচে যারা জিতবে, তারাই শুক্রবার ইডেনের ফাইনালে খেলবে। এখন হরভজন বনাম রায়না দ্বৈরথ ফাইনালে দেখা যায় কি না এটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement