পর্যাপ্ত মাঠকর্মীর অভাবে পয়েন্ট নষ্ট মনোজদের

প্রশ্ন উঠছে, ইডেনে পুরো মাঠ ঢাকার মতো পর্যাপ্ত আচ্ছাদন থাকলেও কেন মাঠ ঢাকা হল না?

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:২৯
Share:

হতাশা: খারাপ আলোর জন্য ম্যাচ বন্ধ। আকাশ পরিষ্কার হওয়ার অপেক্ষায় বাংলার ক্রিকেটাররা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

দিল্লির বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হল বাংলাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আকাশ কালো করে এলেও পুরো মাঠ ঢাকা সম্ভব হয়নি। পিচের সংলগ্ন এলাকা আচ্ছাদনে ঢাকা হলেও আউটফিল্ড ছিল খোলা আকাশের নীচে। ভারী বৃষ্টিতে জমে থাকা জল শুকোনো সম্ভব হয়নি পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে। টানা তিন ঘণ্টা দু’টি সুপার সপার ব্যবহার করে মাঠ শুকোনোর চেষ্টা করা হয় চতুর্থ দিন। কিন্তু সাড়ে তিনটের সময় আম্পায়ারেরা মাঠ পরীক্ষা করে ঘোষণা করেন, এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ পরিচালনা করা আর সম্ভব নয়।

Advertisement

প্রশ্ন উঠছে, ইডেনে পুরো মাঠ ঢাকার মতো পর্যাপ্ত আচ্ছাদন থাকলেও কেন মাঠ ঢাকা হল না? সিএবি সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরো মাঠ ঢাকার জন্য ২১টি আচ্ছাদনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য প্রায় ৫০ জন মাঠকর্মীর প্রয়োজন। ইডেনে উপস্থিত ছিলেন ২০জন মাঠকর্মী। তাঁদের পক্ষে ২১টি আচ্ছাদন দিয়ে মাঠ ঢাকার পর্যাপ্ত সময় ছিল না।

অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাংলার। বৃষ্টি ও খারাপ আলোর জন্য তিন পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল অরুণ লালের দলকে। গুজরাতের বিরুদ্ধেও, বৃষ্টি ও খারাপ আলোর জন্য ম্যাচ বিঘ্নিত হয়। তিন পয়েন্ট পেয়ে শেষ করে বাংলা। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল দিল্লি ম্যাচের আগেও। তা হলে কেন পর্যাপ্ত মাঠকর্মী রাখা গেল না? এই প্রশ্নের সদউত্তর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলা শিবির। শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিল তারা। তিন পয়েন্ট পেলে কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তায় এক ধাপ এগিয়ে যেতেন মনোজ তিওয়ারিরা। বাংলার ৩১৮ রানের জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে দিল্লির রান ২৪২। বৃষ্টি নামার আগে ৭৬ রানে পিছিয়ে ছিল বিপক্ষ। এ দিন সাত ওভার খেলা হলেও একটিও উইকেট ফেলা সম্ভব হয়নি। কারণ, কম আলোর জন্য ছয় ওভার করাতে হয়েছে স্পিনারদের দিয়ে। বর্তমানে ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। তাই শাহবাজ আহমেদ, মনোজ তিওয়ারিরা কোনও ফায়দাই তুলতে পারেননি পিচ থেকে।

‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপ মিলিয়ে প্রথম পাঁচটি দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। এক পয়েন্ট পেয়ে শেষ করায় এলিট ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপের পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলা। ছয় ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২০। ২৭ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে গুজরাত। তৃতীয় স্থানে সৌরাষ্ট্র ২৫ পয়েন্টে। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকের পয়েন্ট ২৪। কিন্তু তাদের কোনও দলের সঙ্গেই বাংলার আর ম্যাচ বাকি নেই। মনোজদের আগামী প্রতিপক্ষ রাজস্থান। শেষ ম্যাচ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার জন্য শেষ দু’টি ম্যাচে অন্তত ৯ পয়েন্ট পেতেই হবে বাংলাকে। মনোজ তিওয়ারি যদিও জানিয়ে দিলেন, ১২ পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাবেন তাঁরা। ম্যাচ শেষে মনোজ বলেন, ‘‘পঞ্জাবকে তাদের ঘরের মাঠে আগে হারিয়েছি। রাজস্থানও এ মরসুমে সে রকম ছন্দে নেই। আমরা সবাই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। শেষ দু’টি ম্যাচে কোনও ভাবেই হাল ছাড়ব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement