চ্যাম্পিয়ন: সুপার কাপ ট্রফি নিয়ে বায়ার্নের ফুটবলারদের উৎসব।
জোড়া গোল করে বায়ার্ন মিউনিখকে জার্মান সুপার কাপ দিলেন রবার্ট লেয়নডস্কি। মঙ্গলবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-১ হারাল বায়ার্ন। সঙ্গে গত মরসুমে ৪১ গোল করার অবিশ্বাস্য ছন্দ ধরে রাখলেন পোলান্ডের মহাতারকা।
ম্যানেজারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই ইউলিয়ান নাহেলসমানের প্রথম জয়। তাঁর কোচিংয়ে চারটি প্রাক-মরসুম ম্যাচ খেলে বায়ার্ন একটাও জেতেনি। তার উপরে বুন্দেশলিগার প্রথম ম্যাচ মনশেনগ্ল্যাডবাখের বিরুদ্ধে ড্র করে বসে। স্বভাবতই ডর্টমুন্ডকে হারাতে পেরে দারুণ খুশি নাহেলসমান। বলেছেন, ‘‘নতুন ক্লাবে আরও ট্রফি মজুত করতে চাই। এমনিতে আমার পূর্বসূরি ও ফুটবলারেরা তো আগেই অনেক ট্রফি জিতিয়েছে।’’
সুপার কাপের এই ম্যাচ শুরু হয় সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি গার্ড মুলারের স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। বায়ার্ন শুরুটা ভাল করলেও প্রথম গোল কিন্তু একটু হলে বরুসিয়াই করে দিচ্ছিল। জুড বেলিংহ্যামের থ্রু ধরে মাখো হয়েসের নিশ্চিত গোলের শট ডান পা দিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার। আর একবার বরুসিয়ার ১৬ বছর বয়সি ইয়োসুফা মোকুকু-র শট জালেই জড়িয়ে যায়। তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। ম্যাচের অন্যতম সেরা ফুটবলার অবশ্যই নয়্যার। প্রথম গোলের আগে আর্লিং হালান্ডের আর একটা শটও তিনি দারুণ ভাবে বাঁচান।
প্রথম গোল করে বায়ার্নই। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার একটু আগে (৪১ মিনিট) স্যাজ নাব্রির সেন্টারে জোরালো হেড দিয়ে ১-০ করেন লেয়নডস্কি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই (৪৯ মিনিট) থোমাস মুলারের সৌজন্যে দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায় বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন ক্লাব। এ বার দারুণ একটা পাস দিয়েছিলেন আলফোন্সো ডেভিস। যা লেয়নডস্কি পায়ের সামান্য ছোঁয়ায় পাঠিয়ে দেন মুলারকে। ২-০ হয় ঠিকানা লেখা শটে। এর মধ্যে হালান্ডের একটা গোলও বাতিল হয় অফসাইডে। সেটা ৫৩ মিনিটে। ৬৪ মিনিটে দুরন্ত বাঁক খাওয়ানো শটে ব্যবধান কমিয়ে চমকে দেন হয়েস। যার ঠিক দশ মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল করে বরুসিয়ার আশা শেষ করে দেন লেয়নডস্কি।