— প্রতীকী চিত্র
মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে আত্মহত্যা করলেন ভারতের এক বেসবল খেলোয়াড়। ঘটনার পরেই পুলিশ গ্রেফতার করল সেই খেলোয়াড়ের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে। সেই বন্ধু ওই খেলোয়াড়ের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সমাজমাধ্যমে। সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই খেলোয়াড়ের নাম সঞ্জনা বরখাড়ে। যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম আব্দুল মনসুরি। তিনি ইনস্টাগ্রামে সঞ্জনার এমন একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন যা খুবই ব্যক্তিগত। সঞ্জনা সেই ভিডিয়ো দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। তার পরেই আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে মনসুরিকে।
গত ৫ জুন নিজের বাড়িতে সঞ্জনার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর পরিবারের লোকেরা হারাই গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই ফাঁকেই আত্মহত্যা করেন সঞ্জনা। পুলিশ জানিয়েছেন, সঞ্জনা এবং মনসুরির আলাপ সমাজমাধ্যমেই। এক বছর ধরে তাঁরা একে অপরকে চেনেন। এমনকি সঞ্জনার সঙ্গে দেখা করতে মনসুরি জব্বলপুরে এসেছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
সঞ্জনার পরিবারের অভিযোগ, মনসুরি নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেছিলেন। পরে তাঁর আসল পরিচয় জানা যায়। এর পরেই তিনি ধর্ম বদলানোর জন্যে সঞ্জনাকে হুমকি দিতেন। এক পুলিশকর্তা একটি ওয়েবসাইটে বলেছেন, “সঞ্জনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসা করে আমরা জানতে পেরেছি যে ইনস্টাগ্রামে সঞ্জনার ভিডিয়ো এবং ছবি পোস্ট করে আব্দুল। তার পর থেকে সঞ্জনা কথা বলেনি তার সঙ্গে। সঞ্জনার আচরণ দেখে রেগে গিয়ে তাঁকে হুমকি দিতে শুরু করে আব্দুল। জোর করে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। সঞ্জনার হাজার অনুরোধেও আব্দুল সেই ভিডিয়ো সরায়নি। তার পরেই ও আত্মহত্যা করে।”
পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের রেওয়া থেকে আব্দুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোন ভিডিয়োর কারণে সঞ্জনা আত্মহত্যা করেছেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।