বাংলাদেশ প্র্যাকটিসে মুশফিকুররা। বুধবার। —পিটিআই
কোনও সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফেভারিট হিসেবেই নামছে ভারত। তবে বাংলাদেশের সামনেও এটা বিরাট সুযোগ এ দেশে বড় ছাপ ফেলার। স্রেফ একটা টেস্টের জন্যে হলেও, শেষ পর্যন্ত এ দেশে খেলার সুযোগ পেয়ে নিশ্চয়ই ওরা খুশি। বাংলাদেশের একটা অ্যাডভান্টেজও আছে। সেটা হল, পিচে বল ঘুরলে সেটার সুবিধা নেওয়ার মতো বোলার ওদের আছে। যেটা ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সে রকম নেই।
সাম্প্রতিক কালে ভারত কিন্তু পুরোপুরি স্কোয়ার টার্নারে খেলেনি। তাই যুদ্ধটা ভাল ব্যাটিং পিচে হতে পারে। আর বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা যদি দারুণ ল়ড়াই করতে পারে তা হলে এ রকম কন্ডিশন নিশ্চয়ই উপভোগ করবে। ওরা নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভাল ব্যাটিং করেছিল। তবে বাংলাদেশের বড় পরীক্ষা পাঁচ দিন চাপের মুখে টিকে থাকা। নিউজিল্যান্ডে ওরা বড় রান করার ক্ষমতা দেখিয়েছে। ভারতের ব্যাটিং কন্ডিশন ফের সেটা করে দেখানোর জন্য আদর্শ।
অন্য দিকে ভারত নিশ্চয়ই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টেস্টটা জিততে চাইবে। হার্দিক পাণ্ড্য দলে সুযোগ পায় কি না সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। আমার মনে হয় এ বার টেস্টে ওকে পরীক্ষা করার সময় এসেছে। কেন না হার্দিক সফল হলে অ্যাওয়ে টেস্টে ও কার্যকর হতে পারে।
তবে হার্দিককে টেস্টে অলরাউন্ডার হিসেবে সফল হতে গেলে যে কোনও একটা বিভাগে ভালো খেলার ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে। হয় বোলিং বা ব্যাটিং। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও একই ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে ভারত। অশ্বিনের ব্যাট আর বোলিংয়ে অবদান কিন্তু বিদেশের মাঠে ভারতকে পাঁচ বোলারে নামার সুযোগ করে দিয়েছে। হার্দিকও এই জায়গায় একটা বিকল্প হতে পারে। যদি নিজেকে প্রমাণ করতে পারে।
তবে আমার মনে হয় না ভারতকে এত সহজে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। বিশেষ করে সম্প্রতি ভারত যে ভাবে দেশের মাঠে খেলছে। বিরাট কোহালির স্টিম রোলার চলতে থাকবে। যেমন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা দেখেছি। দুর্ধর্ষ খেলেছে ভারত। টস হেরেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বেশ ক’য়েক বার। হায়দরাবাদের পিচে বাউন্স থাকবে। আর উপমহাদেশের পিচের ধর্ম অনুযায়ী, এই পিচও কিন্তু যত খেলা গড়াবে তত দ্রুত পাল্টে যাবে। বাংলাদেশের সুবিধা হল, ঘূর্ণি পিচের সঙ্গে ওরা অপরিচিত নয়। ঢাকায় তো ওদের সব সময়ই খেলতে হচ্ছে। তবে, দেখতে হবে ওদের ক্ষমতা বা ক্রিকেটীয় মান ভারতের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে কি না।