উদ্যোগ: অস্ট্রেলিয়ার স্টেফানি রাইস সাঁতারের প্রতিভা তুলে আনতে চান ভারত থেকে। ফাইল চিত্র
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি মহিলা সাঁতারু স্টেফানি রাইস অ্যাকাডেমি খুলছেন ভারতে। লক্ষ্য, ২০২৪ ও ২০২৮ অলিম্পিক্সের জন্য ভারতীয় সাঁতারুদের তৈরি করা।
মঙ্গলবার মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে বেজিং অলিম্পিক্স থেকে সাঁতারে তিনটি সোনার পদক জয়ী এই সাঁতারু বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় সাঁতারের বিখ্যাত বহু কোচ রয়েছেন। যাঁদের প্রশিক্ষণে অনেক তারকা সাঁতারু তৈরি হয়েছে। যেমন মাইকেল ফেল্পসের কোচ বা আমার কোচ মাইকেল বোল। এই সব বিখ্যাত কোচেদের অনুশীলন খুব কাছ থেকে দেখার সুবাদেই জানি, কী ভাবে এই কোচেরা চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তৈরি করেন। সেই অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করেই ভারতে সাঁতারের অ্যাকাডেমি তৈরি করতে চাই।’’ স্টেফানি সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া থেকে বিশেষজ্ঞ কোচেদের এনে ভারতীয় সাঁতারুদের উৎকর্ষ বাড়ানো যেতেই পারে।’’
বেজিং অলিম্পিক্সে তিনটি সোনার পদক পেলেও চার বছর পরে ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্স ভাল যায়নি স্টেফানির। সেই অলিম্পিক্সের আগেই কাঁধে তিনটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। লন্ডনে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে চতুর্থ হন। আর ৪০০ মিটার মেডলিতে যুগ্ম ভাবে হয়েছিলেন ষষ্ঠ। এর পরেই ২০১৪ সালে সাঁতার থেকে অবসর নেন স্টেফানি।
অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী অস্ট্রেলীয় এই সাঁতারুর মতে, ভারতে প্রতিভাবান সাঁতারু রয়েছে প্রচুর। কিন্তু সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে হারিয়ে যায় তারা। স্টেফানির কথায়, ‘‘গত তিন বছর ধরে ভারতে অনেক সাঁতারের ক্লিনিক পরিচালনা করেছি। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই বলতে পারি, ভারতের সাঁতারের সংস্কৃতি বেশ উচ্চমানের।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ভারতের সফল সাঁতারুরা উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় যায়। কারণ সেখানে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ও বিশ্বমানের কোচেরা রয়েছেন। ‘হাই পারফরম্যান্স’ কোচেদের অভাব রয়েছে ভারতে।’’
স্টেফানির কথায়, ‘‘যে সব সাঁতারুরা প্রতিশ্রুতিমান, তাদের বেছে নিয়েই প্রশিক্ষণ দিতে চাই। লক্ষ্য ২০২৪ ও ২০২৮ সালের অলিম্পিক্স। সেখানে দেখতে চাই অন্তত দু’জন ভারতীয় অলিম্পিক্স সাঁতার থেকে পদক আনছে। আরও খুশি হব, যদি দেখি ভারতীয় রিলে দল পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’
উদ্বোধন: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আজ, বুধবার, বাংলার নতুন টেবল টেনিস অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করবেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।