জুটিতে লুটি। জোড়া সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন অ্যালেক্স ক্যারি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। —ছবি রয়টার্স।
করোনা আতঙ্কের মধ্যে ইংল্যান্ডের মাঠে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শেষ হল অত্যন্ত নাটকীয় একটা ম্যাচ দিয়ে। যেখানে হারের মুখে দাঁড়ানো অস্ট্রেলিয়া অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ জিতে নিল তিন উইকেটে। সঙ্গে ২-১ ফলে সিরিজও। যে ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন অ্যালেক্স ক্যারি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
বুধবার ম্যাঞ্চেস্টারে তৃতীয় ওয়ান ডে-র শুরুতেই জেসন রয় এবং জো রুটকে পরপর দু’বলে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের স্কোর শূন্য রানে দু’উইকেট করে দিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। সেখান থেকে দুরন্ত সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে ৩০২ রানে পৌঁছে দেন জনি বেয়ারস্টো (১১২)। এর পরে ব্যাট করতে নেমে এক সময় অস্ট্রেলিয়া ৭৩ রান পাঁচ উইকেট হারায়। যখন মনে হচ্ছিল, টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ান ডে সিরিজও হেরে ফিরতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে, তখনই ম্যাক্সওয়েল-ক্যারি জুটিতে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন ঘটে। জুটিতে ওঠে ২১২ রান। ম্যাক্সওয়েল ৯০ বলে ১০৮ রান করেন। মারেন চারটে চার, সাতটি ছয়। ক্যারি করেন ১১৪ বলে ১০৬। কিন্তু দু’জনেই আউট হয়ে যাওয়ার পরে শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হত ১০ রান। লেগস্পিনার আদিল রশিদের প্রথম বলেই ছয় মেরে জয়ের কাজটা সহজ করে দেন স্টার্ক।
দলকে জেতানো ছাড়াও দর্শকদের মন অন্য একটা কারণে জিতে নিয়েছেন স্টার্ক। এ দিন সুযোগ পেয়েও রশিদকে মাঁকড়ীয় আউট করেননি এই বাঁ-হাতি পেসার। ৪৯তম ওভারে নন-স্ট্রাইকার রশিদ ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও বোলার স্টার্ক তাঁকে আউট করেননি। বরং থেমে গিয়ে রশিদকে সতর্ক করে ছেড়ে দেন। মাথায় চোট লাগা স্টিভ স্মিথকে এই ম্যাচেও বিশ্রাম দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন স্টার্ক এবং অ্যাডাম জ়াম্পা। এই লেগস্পিনারের ফর্ম নিশ্চয়ই আশ্বস্ত করবে বিরাট কোহালিকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে রয়েছেন জ়াম্পা। এ বারে কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দেওয়া অইন মর্গ্যান করেন ২৩।
স্কোরকার্ড
ইংল্যান্ড ৩০২-৭ (৫০)
অস্ট্রেলিয়া ৩০৫-৭ (৪৯.৪)
ইংল্যান্ড
জেসন রয় ক ম্যাক্সওয়েল বো স্টার্ক ০•১
বেয়ারস্টো বো কামিন্স ১১২•১২৬
রুট এলবিডব্লু স্টার্ক ০•১
মর্গ্যান ক স্টার্ক বো জাম্পা ২৩•২৮
বাটলার ক ফিঞ্চ বো জাম্পা ৮•২০
বিলিংস ক মার্শ বো জাম্পা ৫৭•৫৮
ওকস ন.আ ৫৩•৩৯
কারেন বো স্টার্ক ১৯•১৯
রশিদ ন.আ ১১•৯
অতিরিক্ত ১৯
মোট ৩০২-৭ (৫০)
পতন: ১-৭ (রয়, ০.১), ২-০ (রুট, ০.২), ৩-৬৭ (মর্গ্যান, ১০.২), ৪-৯৬ (বাটলার, ১৮.১), ৫-২১০ (বিলিংস, ৩৭.৩), ৬-২২০ (বেয়ারস্টো, ৪০.১), ৭-২৬৬ (কারেন, ৪৬.২)।
বোলিং: মিচেল স্টার্ক ১০-০-৭৪-৩, জশ হেজলউড ১০-০-৬৮-০, প্যাট কামিন্স ১০-০-৫৩-১, অ্যাডাম জাম্পা ১০-০-৫১-৩, মিচেল মার্শ ৬-০-২৫-০, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪-০-২৩-০।
অস্ট্রেলিয়া
ওয়ার্নার বো রুট ২৪•৩২
ফিঞ্চ এলবিডব্লু ওকস ১২•৯
স্টয়নিস ক মর্গ্যান বো ওকস ৪•৭
লাবুশেন রান আউট ২০•৩১
মিচেল মার্শ ক বাটলার বো রুট ২•৮
ক্যারি ক উড বো আর্চার ১০৬•১১৪
ম্যাক্সওয়েল ক কারেন বো রশিদ ১০৮•৯০
কামিন্স ন.আ ৪•৫
স্টার্ক ন.আ ১১•৩
অতিরিক্ত ১৪ মোট ৩০৫-৭ (৪৯.৪)
পতন: ১-২১ (ফিঞ্চ, ২.৫), ২-৩১ (স্টয়নিস, ৪.৬), ৩-৫১ (ওয়ার্নার, ১০.৫), ৪-৫৫ (মার্শ ১২.৪), ৫-৭৩ (লাবুশেন, ১৬.৫), ৬-২৮৫ (ম্যাক্সওয়েল, ৪৭.৩), ৭-২৯৩ (ক্যারি, ৪৮.৬)।
বোলিং: ক্রিস ওকস ১০-০-৪৬-২, জফ্রা আর্চার ৯-০-৬০-১, মার্ক উড ৯-১-৪০-০, জো রুট ৮-০-৪৬-২, টম কারেন ৬-১-৪০-০, আদিল রশিদ ৭.৪-০-৬৮-১।