শ্রেয়স। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত দ্বিশতরান।-পিটিআই
প্রস্তুতি ম্যাচে স্লেজিংয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। যাঁকে লক্ষ্য করে আগের দিন এন্তার স্লেজিং করেছিলেন ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নাররা, সেই শ্রেয়স আইয়ার অস্ট্রেলীয় বোলারদের শাসন করে গেলেন গোটা দিন। করলেন নিজের সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ২০২।
যা দেখেই হয়তো স্লেজিং করা থেকে কিছুটা পিছু হটছেন ওয়ার্নার। বিশেষ করে বিরাট কোহালিকে আর খুব একটা চটাতে চান না তিনি। ভারত ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের শেষে ওয়ার্নার বলে দিচ্ছেন, ‘‘স্লেজিং করতেই হবে, এ রকম ভাবনা নিয়ে আমরা মাঠে নামব না। আর বিরাট হল সেই ধরনের ক্রিকেটার যাকে আপনি বেশি স্লেজিং করতে চাইলে সে আরও বেশি ভাল খেলতে শুরু করে দেয়। ও বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তাই মাঠে নেমে ওর বিরুদ্ধে সেরাটা দেওয়া ছাড়া কিছু ভাবছি না।’’
প্রস্তুতি ম্যাচে দু’ইনিংসে সে রকম রান পাননি ওয়ার্নার। রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে ফেরান অশোক ডিন্ডা। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনে অন্যতম ভরসা নাথন লায়ন চার উইকেট নিলেও ১৬২ রান দিয়েছেন। ওয়ার্নার অবশ্য এ সব নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। বলছিলেন, ‘‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি ও ভাবেই খেলি। হয় বড় রান করব, না হলে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাব। আর নাথনও খারাপ বল করেনি। উল্টো দিকে যখন সেঞ্চুরি করা এক জন ব্যাটসম্যান (শ্রেয়স) থাকে, তখন তাকে আটকানো খুব কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
কর দিক কাজ-খেকো রোবট, চান বিল গেটস
ভারত সফরের প্রথম ম্যাচেই যিনি লায়নকে এবং স্মিথকে চিন্তায় ফেলে দিলেন, সেই শ্রেয়স অবশ্য মনে করেন অস্ট্রেলীয় স্পিনারদের মধ্যে এই অফস্পিনারই সেরা। ‘‘স্টিভ ও’কিফ বাঁহাতি স্পিনার। ওকে খেলতে তত সমস্যা হয়নি। স্পিনের সঙ্গে খেলা যায়। লায়নকে কিন্তু ভাল বাউন্স পাচ্ছিল,’’ বলছিলেন শ্রেয়স। যিনি ২১০ বলের ইনিংসে ৭টা ওভারবাউন্ডারি আর ২৭টা বাউন্ডারি মারেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ৪৬৯-৭ ডিক্লেয়ারের জবাবে ভারত ‘এ’ রবিবার করে ৪০৩।