ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাসেজ ১-১ করা, তা-ও ইংরেজদের ক্রিকেট-মক্কা লর্ডসে, তা-ও আবার চার দিনে, ৪০৫ রানের রাজসিক ব্যবধানে। এর পরে অস্ট্রেলীয়রা রাজকীয় মেজাজে থাকবেন, স্বাভাবিক।
তবে সিরিজ সমতায় ফেরানোর উৎসব বাড়াবাড়ি রকমের কিছু হয়নি। কেনসিংটনের পাঁচতারা টিম হোটেল থেকে রবিবার গভীর রাতে কয়েক জন চলে গেলেন লেবানিজ রেস্তোরাঁয় মধ্যরাতের জলখাবার সারতে। মেনুতে ছিল কাবাব-সহ অনেক কিছুই। স্টিভ স্মিথ ছিলেন বান্ধবী ড্যানি উইলিসের সঙ্গে। মিচেল মার্শ বেরিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকা ইসাবেল প্লাটকে নিয়ে। সঙ্গে ছিলেন পিটার সিডল। বাকিদের মধ্যে কারও কারও আবার গন্তব্য ছিল পশ স্থানীয় নাইটক্লাব, বোজি।
অস্ট্রেলীয়রা ট্যাবলয়েড ক্যামেরায় ধরা দিলেও অ্যালিস্টার কুক বা তাঁর টিম অন্তরালেই থাকলেন। দ্বিতীয় টেস্টে ওপেনারদের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর তিনি বলে দিয়েছেন, ওপেনার-সমস্যা নিয়ে টিমের সঙ্গে বসবেন। ও দিকে অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজমেন্টও পুরো স্বস্তিতে নেই। অস্বস্তির প্রধান কারণ ব্র্যাড হাডিন আর ক্রিস রজার্স। ব্যক্তিগত কারণে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানো হাডিনের বদলি হিসেবে নেমে যথেষ্ট ভাল পারফর্ম করেছেন পিটার নেভিল। সাতটা ক্যাচের সঙ্গে সাত নম্বরে নেমে ৪৫ রান করেছেন। শেন ওয়াটসনের বদলি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শও সফল।
কিন্তু রজার্সের অবস্থা কী দাঁড়াবে, পরিষ্কার নয়। এ দিন লন্ডনে ডাক্তার দেখাতে যান তিনি। সরকারি ভাবে কিছু না জানানো হলেও শোনা যাচ্ছে, তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। রবিবার রাতে টিমের সেলিব্রেশনেও ছিলেন রজার্স। দু’দিন আগে ব্যাট করার সময় মাথায় চোট পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ দিন দুপুরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার টিম ডাক্তার পিটার ব্রুকনারও। রজার্স প্রসঙ্গে অস্ট্রেলীয় কোচ ডারেন লেম্যান বলেছেন, ‘‘ওর সুস্থ হয়ে ওঠা আমাদের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের পরিবেশ ও খুব ভাল ভাবে চেনে। ব্যাটসম্যান আর বোলারদের সেটা নিয়ে বেশ সাহায্যও করে। বিশেষ করে মিডলসেক্স আর লর্ডসের ঢালু মাঠে টেকনিক কী হওয়া উচিত, সেগুলো নিয়ে পরামর্শ দেয়।’’ মাইকেল ক্লার্কও রজার্স নিয়ে বলেছেন, ‘‘ওর অবস্থা ঠিক কী, এখনই সেটা নিয়ে সব তথ্য আমার কাছে নেই। বিশেষজ্ঞরা ওকে ভাল করে দেখে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে পরের টেস্টে ক্রিসকে পাওয়ার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’’