কৃষ্ণ, ডেভিডদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রীতম। ফাইল ছবি
এএফসি কাপের আন্তঃজোনাল পর্বের সেমিফাইনাল খেলতে তাসখন্দে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। বিমান দেরিতে থাকার কারণে দু’ঘণ্টা পরে পৌঁছয় তারা। তাসখন্দের তাপমাত্রা দুবাইয়ের থেকে কম। বিকেলে রীতিমতো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে রাতের দিকে খেলা থাকায় ফুটবলারদের কাছে সেটা একটা সুবিধা। সোমবার বিকেলে তাসখন্দের কারশি স্টেডিয়ামের মাঠে অনুশীলন করে এটিকে মোহনবাগান। প্রথম একাদশে কারা খেলবেন তা এখনও ঠিক করেননি সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস।
দুবাইয়ে আট দিনের শিবিরে সেট-পিস এবং বিভিন্ন ধরনের উইং প্লে-র অনুশীলন করেছে এটিকে মোহনবাগান। এটা নক-আউটের ম্যাচ। তাই সবুজ-মেরুন শিবির অতিরিক্ত সতর্ক। আপাতত তাসখন্দে দু’দিন অনুশীলনের পর চূড়ান্ত দল নির্ধারণ করবেন হাবাস।
নাসাফ যে সব থেকে কঠিন প্রতিপক্ষ, এটা মেনে নিলেন দলের বাঙালি ফুটবলার প্রীতম কোটাল। এটিকে মোহনবাগান মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমাদের আঞ্চলিক পর্বে নাসাফ সব থেকে শক্তিশালী দল। একজনের উপর ভরসা রেখে আমরা খেলতে নামি না। তাই ঠিক কোন জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে সেটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে নাসাফ হারাতে পারি এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।”
প্রীতমের মতে, নাসাফের মিডফিল্ড খুবই শক্তিশালী। পাশাপাশি তাদের উইং প্লে-ও খুব ভাল। প্রীতম বলেছেন, “এই দুটো দিক ভাল করে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের। সেটা নিয়ে প্রস্তুতিও চলছে। আমরা প্রতিটি ম্যাচ ধরে ভাবতে চাই। এই ম্যাচ জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ বিশ্বাসী।”
সন্দেশ ঝিঙ্ঘান চলে যাওয়ায় এই ম্যাচে সেন্টার ব্যাকে খেলতে পারেন প্রীতম। সেই প্রসঙ্গে বললেন, “ছোটবেলায় স্টপারেই খেলতাম। জাতীয় দলে খেলার সময়েই কোচ বলেছিলেন রাইট ব্যাকে খেলতে। ইন্ডিয়ান অ্যারোজে খেলার সময় সব পজিশনে খেলেছি। তাই রাইট ব্যাক হোক বা সেন্টার ব্যাক, কোনও পজিশনেই খেলতে আমার অসুবিধা নেই।”