Ashwin

সে দিন বাবা ঘুম থেকে তুলে ‘সচিন ঝড়’ দেখিয়েছিলেন আজকের এই ক্রিকেটারকে

তখন ১৯৯৮ সালে শারজায় ত্রিদেশীয় কোকাকোলা কাপ চলছে। এক দিন রাত্রে হঠাৎ অশ্বিনের বাবা তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। বলেন, স্পেশাল কিছু ঘটছে। আসলে সে দিন শারজায় মরুঝড়ের পর সচিন-ঝড় শুরু হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ১৪:৪১
Share:

রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ফাইল চিত্র।

আজ ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’-এর জন্মদিন। সেই ঈশ্বর যিনি একটা সময় দেশের শিশু-যুবক-বৃদ্ধদের নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন। সেই হিরো যিনি ঘরে তৈরি কাঠের ব্যাটে এমআরএফ লিখতে শিখিয়েছিলেন। সেই সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের আজ, ৪৭তম জন্মদিন। আর দেশের নতুন প্রজন্মের বহু ক্রিকেটারের আদর্শ সচিনকে নিজের মতো করে শ্রদ্ধা জানালেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বৃহস্পতিবার একটি লাইভ করেন অশ্বিন। সেখানে সচিনকে নিয়ে তাঁর ছোটবেলার স্মৃতি তুলে ধরেন।

Advertisement

অশ্বিন জানান, তখন ১৯৯৮ সালে শারজায় ত্রিদেশীয় কোকাকোলা কাপ চলছে। এক দিন রাত্রে হঠাৎ অশ্বিনের বাবা তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। বলেন, স্পেশাল কিছু ঘটছে। আসলে সে দিন শারজায় মরুঝড়ের পর সচিন-ঝড় শুরু হয়। যা ত্রিদেশীয় সিরিজে অনায়াসে ভারতকে ফাইনালে পৌঁছে দেয়।

সিরিজে লিগের শেষ ম্যাচে ৪৬ ওভারে ভারতের সামনে ২৭২ রানের টার্গেট রাখে। তবে রান রেটে নিউজিল্যান্ডকে টপকে ভারতকে ফাইনালে যেতে হলে ৪৬ ওভারে ২৩৭ রান করতে হত। এক সময় সেই টার্গেট দাঁড়ায়, ৫৩ বলে ৬০ রান।

Advertisement

আরও পড়ুন: লকডাউনে দুঃস্থদের মুখে খাবার তুলে দিতে জমি বিক্রি করে দিলেন দুই ভাই

সচিনের সঙ্গে ক্রিজে তখন ভিভিএস লক্ষ্মণ। বেশির ভাগ বল সচিনই খেলেন। এমনকি ওভারের শেষ বলগুলিতে সচিন সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত সচিনের ১৩১ বলে ঝোড়ো ১৪৩ রানের ইনিংস নিউজিল্যান্ডের সব স্বপ্ন চুরমার করে দেয়। অনায়াসে ফাইনালে পৌঁছে যায় ভারত। সচিনের সেই ‘অনায়াস’ ইনিংসের কথাই বলছিলেন অশ্বিন। এমনকি সে দিন সচিনে যে আউট ছিলেন তা আম্পায়ার বুঝতেই পারেননি। তিনি আউটও দেননি, কিন্তু সচিনই নিজে থেকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান। তবে তত ক্ষণে ফাইনালের টিকিট পাকা হয়ে গিয়েছে ভারতের।

আরও পড়ুন: মুদিখানায় ৭ হাজার টাকার জিনিসে দিতে হল ৯ লাখ, তাও লাভ হল ক্রেতারই

দেখুন সচিনের সেই ঝড়ো ইনিংস:

ফাইনালেও সচিন ঝড় অব্যাহত থাকে। সে দিনও সচিন ভারতে জেতানোর জন্য ১৩১ বল নেন। ১৩১ বলে ১৩৪ রান করেন। কাসপ্রোইচের একটি বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ে অফ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। সেই বল লাগে সচিনের পায়ে। আম্পায়ার আউট দিলেও অনেকেই বলেন সচিন আউট ছিলেন না। তবে তত ক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার ২৭২ রানের টার্গেটের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। সচিন আউট হন দলীয় ২৪৮ রানের মাথায়। শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় রান তুলতে ভারতে আর বেগ পেতে হয়নি। ৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

দেখুন শরজার ফাইনালে সচিনের ঝড়:

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement