জোফ্রা আর্চার এবং স্টিভ স্মিথের দ্বৈরথ মাঠের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে।—ফাইল চিত্র।
লর্ডসে যে দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল জোফ্রা আর্চার এবং স্টিভ স্মিথের মধ্যে, তার উত্তাপ মাঠের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
আর্চারের বাউন্সারে আহত হয়ে লর্ডস টেস্টে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল স্মিথকে। যে আঘাতের জেরে হেডিংলে টেস্টেও খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। কিন্তু তা বলে মনঃস্তাত্বিক যুদ্ধে আর্চারকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নন তিনি। স্মিথ আগের দিনই বলেছিলেন, ‘‘আর্চারের বিরুদ্ধে আমার ব্যাটিং স্টাইল বদলানোর কথা একেবারেই ভাবছি না। ও তো আমাকে আউট করতে পারেনি।’’
স্মিথের এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পাল্টা জবাব চলে এল আর্চারের কাছ থেকে। ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার বলে দিলেন, ‘‘স্মিথকে আউট করব কী, ও তো ক্রিজে ছিল না। স্মিথ যখন পরে ফিরে এল, তখন আমি বল করতে চেয়েছিলাম ওর বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি বল করতে আসার আগেই স্মিথ আউট হয়ে যায়। তবে আমি নিশ্চিত, ওকে আউট করার প্রচুর সুযোগ পাব।’’
চলতি অ্যাশেজ সিরিজ আপাতত ১-১ অবস্থায়। হেডিংলেতে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ভেঙেছিলেন আর্চার। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে অল আউট হয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে বেন স্টোকসের অবিশ্বাস্য ইনিংসে জিতেছিল জো রুটের দল। এই অবস্থায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফের শুরু হচ্ছে অ্যাশেজ দ্বৈরথ। তার আগে স্মিথ বনাম আর্চারের এই বাগ্যুদ্ধে নিঃসন্দেহে বাড়তি মাত্রা দেবে ওই টেস্টকে।
আর্চার অবশ্য পাশাপাশি এও বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়াকে আমাদের দশটা উইকেট পেতে হবে। আমি বলছি না যে স্মিথকে আউট করতে পারব না। কিন্তু ঘটনা হল, ও ছাড়া বাকি দশ জনকে ফিরিয়ে দিলেও একই কাজ হবে। তখন যদি স্মিথ ৪০ রানে এক দিকে আটকে যায়, তা হলে কি অস্ট্রেলিয়ার কোনও লাভ হবে?’’ তাঁদের দু’জনের দ্বৈরথে যে এ বার ক্রিকেট বিশ্বের নজর থাকবে, তা বুঝেই হয়তো আর্চার যোগ করছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হল, টেস্ট জয়। আমি কোনও এক জন বিশেষ ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে চাই না। আমি অ্যাশেজ জিততে চাই।’’
আর্চার এই কথা বলেও অস্ট্রেলিয়ার দিকে পাল্টা গোলাগুলি ছোড়া বন্ধ করছেন না। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার মনে করেন, হেডিংলে টেস্টে হারের জেরে অস্ট্রেলিয়ার মনোবল অনেকটাই ধাক্কা খাবে। আর্চার বলেছেন, ‘‘হেডিংলে টেস্টে একটা সময় হয়তো অস্ট্রেলিয়া ভেবেছিল ওরা জিতে গিয়েছে। ৩৫৯ রান খুব বড় লক্ষ্য ছিল। কিন্তু কোনও সময় আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নেই।’’
এর মানে কি চতুর্থ টেস্টে চাপে থাকবে অস্ট্রেলিয়া? কোনও রাখঢাক না করে আর্চার বলে দিচ্ছেন, ‘‘অবশ্যই। হেডিংলে টেস্টে প্রচুর সময় ফিল্ডিং করতে হয়েছে ওদের। দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েও আমাদের আউট করতে পারেনি। এ সব ব্যাপার তো ওদের মাথাতে থাকবেই। আমার তো মনে হয়, ডিক্লেয়ার দিতেও এখন থেকে দু’বার ভাববে ওরা।’’