নায়ক: জোড়া গোল করে উৎসব উলফের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
টালিগঞ্জ অগ্রগামী ২
রেনবো এসি ১
শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে টালিগঞ্জ অগ্রগামী বনাম রেনবো এসি ম্যাচের সময় যত এগোচ্ছিল, উত্তেজনা তত বাড়ছিল সুভাষ ভৌমিকের।
কলকাতা ময়দানে কোচ হিসেবে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন আসিয়ানজয়ী কোচ। কিন্তু ৭০ মিনিট পর্যন্ত গোল না হওয়ায় আর রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে পারলেন না সুভাষ। সাইড লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত চিৎকার করছিলেন। অবশেষে স্বস্তি। ৭৪ মিনিটে গোল করে টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে এগিয়ে দিলেন অ্যান্থনি উলফ। কিন্তু ছ’মিনিটের মধ্যেই রেনবো এসি-র বেজাই আর্মান্দো গোল করে সমতা ফেরাতেই ফের হতাশ হয়ে পড়লেন টালিগঞ্জ অগ্রগামী। এ বার তাঁর ত্রাতা হয়ে উঠলেন উলফ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে জয়সূচক গোল করে স্বস্তি দেন সুভাষকে।
বছর চারেক আগে সুভাষের হাত ধরেই ভারতীয় ফুটবলে অভিষেক হয় উলফের। আসিয়ানজয়ী কোচ তখন ছিলেন চার্চিল ব্রাদার্সের দায়িত্বে। আই লিগ জয়ের লক্ষ্য ২০০৬ বিশ্বকাপে ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর জাতীয় দলে থাকা স্ট্রাইকারকে নিয়ে এসেছিলেন। তার পর সুভাষ চার্চিল ছাড়লেও উলফ থেকে গিয়েছিলেন।
প্রত্যাবর্তন: প্রথম ম্যাচে জিতে স্বস্তি সুভাষের। —নিজস্ব চিত্র।
এ বছর টালিগঞ্জ অগ্রগামীতে ফের সুভাষ-উলফ যুগলবন্দি। রেনবো এসি-র বিরুদ্ধে জয়ের পর প্রিয় ছাত্রকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সুভাষ বললেন, ‘‘কঠিন ম্যাচ ছিল। ওদের শক্তিশালী রক্ষণের বিরুদ্ধে দু’টো দারুণ গোল করেছে উলফ।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘একটু সময় পেলে উলফ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।’’ তবে তিনি যে এই ম্যাচ নিয়ে চাপে ছিলেন স্বীকার করে নিয়েছেন। সুভাষ বললেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ ছিল। তার উপর অধিকাংশ ফুটবলারকেই চিনি না। কোনও ধারণা ছিল না কার কোথায় শক্তি ও দুর্বলতা। পরের ম্যাচের আগে সপ্তাহ দু’য়েক সময় পাব। চেষ্টা করব দলটাকে গুছিয়ে নেওয়ার।’’
চার ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ টেবলের তিন নম্বরে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর পরের ম্যাচ দুরন্ত ফর্মে থাকা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ৩ সেপ্টেম্বর। সুভাষ সেই ম্যাচ নিয়ে সতর্ক। বললেন, ‘‘মোহনবাগান ম্যাচ নিয়ে ফুটবলারদের চাপ বাড়াতে চাই না। ওদের ফুরফুরে রাখাই আমার লক্ষ্য।’’ তবে তাঁর সেরা অস্ত্র শুক্রবারই মোহনবাগানকে হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন। উলফ বললেন, ‘‘মোহনবাগান অপরাজেয় নয়। তাই আমি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’’
নেকড়ের হুঙ্কারে উত্তাপ বাড়ছে ময়দানে!