যুদ্ধের প্রস্তুতি। বেঙ্গালুরুতে এবি। ছবি পিটিআই।
বেঙ্গালুরু টেস্ট শুরুর আগেই বড়সড় ধাক্কা লাগল দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের বিভাগে। গোড়ালিতে গুরুতর চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিল্যান্ডার। চোট সারিয়ে উঠতে অন্তত ছয় থেকে আট সপ্তাহ। সুতরাং, দক্ষিণ আফ্রিকার যে পেস আক্রমণে ভারতের রথি মহারথিদের বেশ বেগ পেতে হয়েছিল, সে আক্রমণের ঝাঁঝ কিছুটা হলেও কমবে, সেটা আশা করা জেতেই পারে।
কিন্তু এই দুঃসংবাদের পরেও নিজেদের দুর্বল ভাবতে মোটেই তৈরি নন এবি ডিভিলিয়ার্স। এটা ভাবলে ভুল হবে যে প্রথম ম্যাচে হেরে সিরিজে ফেরার হাল ছেড়ে দিয়েছে হাসিম আমলাদের দক্ষিণ আফ্রিকা। লড়াই এখও অনেক বাকি। মোহালিতে ভারতীয় স্পিন আক্রমণের সামনে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর নিজেদের ভুল ত্রুটিগুলো যতটা সম্ভব শুধরে নিতে বদ্ধপরিকর তাঁরাও। বিনা লড়াইয়ে এতটুকু জমিও ছাড়তে নারাজ দক্ষিণ আফ্রিকা। বেঙ্গালুরু টেস্টে নিজের ক্রিকেট জীবনের একশোতম টেস্ট খেলতে নামছেন এবি। তবে নিজের একশোতম টেস্টের চেয়েও তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে সমতা ফেরানো। এবির কথায়, “দেশের মাটিতে খেলার অনন্দই আলাদা। কিন্তু দেশের বাইরে যেখানে হাজার হাজার মানুষ তাঁদের পরাজয়ের জন্যই অপেক্ষা করছে, সেখানে ভালো খেলে মানুষের মন জয় করার অনুভুতিটা একেবারে অন্যরকম।” দক্ষিণ আফ্রিকার দলে তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন তিনি। তাই দলকে জেতানোর জন্য সব রকম চেষ্টা করতে প্রস্তুত ডিভিলিয়ার্স।