হার-জিত: বিদায় মারের। (ডানদিকে) এগোচ্ছেন রজার।—ছবি গেটি ইমেজেস।
অস্ট্রেলীয় ওপেনে সোমবার দুই তারকার মধ্যে একজন লড়াই করে হারলেন। অপর জন মসৃণ ভাবে পৌঁছে গেলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে।
কোমরের প্রবল ব্যথা উপেক্ষা করে দু’সেট পিছিয়ে সমতা ফিরিয়েও ব্রিটেনের অ্যান্ডি মারে হেরে গেলেন। আর প্রতিযোগিতায় গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন রজার ফেডেরার জয় পেলেন স্ট্রেট সেটে। উজবেকিস্তানের ডেনিস ইস্তোমিনকে তিনি হারালেন ৬-৩, ৬-৪, ৬-৪ সেটে। অন্য দিকে, মারে লড়াই করে হারলেন স্পেনের রবের্তো বাউতিস্তা আগুতের কাছে। ফল ৬-৪, ৬-৪, ৬-৭, ৬-৭, ৬-২। ম্যাচ গড়াল পাঁচ সেট পর্যন্ত।
মারে বিদায় নেওয়ার দিনে তাঁর চেয়ে ছয় বছরের বড় বিশ্বের তিন নম্বর খেলোয়াড় রজার ফেডেরার প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকালেন অক্লেশে। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাঁর প্রতিপক্ষ ব্রিটেনের ড্যান ইভান্স। এ বার জিতলেই টানা তিন বার অস্ট্রেলীয় ওপেন জিতবেন ফেডেরার। ম্যাচের পরে সে প্রসঙ্গ উঠলে সুইস তারকা বলে যান, ‘‘অস্ট্রেলীয় ওপেনে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য নিজের সেরাটা কোর্টে উজাড় করে দিচ্ছি। পরের ম্যাচগুলোতেও সেই একই ধারায় খেলে যাব। গত বছরটা দুর্দান্ত গিয়েছে। এ বছরটাও যাতে সে রকমই হয়, সেই চেষ্টাই জারি থাকবে।’’
স্পেনীয় প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে হেরে অস্ট্রেলীয় ওপেন থেকে বিদায় নেওয়ার প্রাক্কালে ৩১ বছরের মারে বলে যান, ‘‘জানি না, এটাই আমার শেষ ম্যাচ হল কী না। যদি এটাই আমার কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকে, তা হলে শেষটা দারুণ হল বলতে হবে। পিছিয়ে গিয়েও ম্যাচটা জেতার জন্য নিজের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য শেষ পর্যন্ত জয় এল না।’’
গত শুক্রবারেই মারে জানিয়েছিলেন কোমরের সমস্যার জন্য, চলতি বছরেই অবসর নেবেন তিনি। এ দিন চার ঘণ্টা নয় মিনিট লড়ে হারের পরে অশ্রুসজল চোখে কোর্টে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মারে বলে যান, ‘‘হয়তো আপনাদের সঙ্গে ফের দেখা হবে। তার জন্য সব রকম চেষ্টাই করব। ফিরতে গেলে বড় অস্ত্রোপচারের দরকার আছে। কিন্তু তার পরে পুরোপুরি সুস্থ হব কি না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। যদি ফিরে আসি, তখনও এ ভাবেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব কোর্টে।’’ সঙ্গে রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘‘রাফা, রজার, নোভাকের মতো খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়ে ভাগ্যবান। অনেক ভাল ম্যাচ খেলার স্মৃতি রয়েছে ওদের সঙ্গে। সেগুলো আমিও যেমন ভুলব না। তেমনই ওই দর্শকরাও বহু দিন সেই ম্যাচগুলো মনে রাখবেন।’’