কুকের সামনে সেরা পেসার হয়ে খুশি জিমি

শেষটা যেমন চেয়েছিলেন, তেমনই হল। যেন আগে থেকেই চিত্রনাট্য লেখা ছিল। দলের জয় ও তাতে তাঁর উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স, সবই হল। তাই বিদায়বেলা স্বপ্নের মতো লাগছে অ্যালেস্টেয়ার কুকের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৬
Share:

জুটি: শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের দুই নায়ক। কুক ও অ্যান্ডারসন। রয়টার্স

শেষটা যেমন চেয়েছিলেন, তেমনই হল। যেন আগে থেকেই চিত্রনাট্য লেখা ছিল। দলের জয় ও তাতে তাঁর উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স, সবই হল। তাই বিদায়বেলা স্বপ্নের মতো লাগছে অ্যালেস্টেয়ার কুকের। তিনি সেই সৌভাগ্যবান। প্রথমের মতো জীবনের শেষ টেস্ট ইনিংসেও সেঞ্চুরির জন্য।

Advertisement

মঙ্গলবার ওভালে খেলার শেষে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে উঠে কুক বলেন, ‘‘বিফি (ইয়ান বোথাম) আমাকে একটা টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছে, ‘তোমার চিত্রনাট্যের লেখকের নাম বলবে’? শেষ সেশনে যে কোনও ফল হতে পারত। এর চেয়ে ভাল টেস্ট আর কী হতে পারে? এরকম একটা টেস্ট খেলে অবসর নিতে পারাটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তার ওপর জিমিকে দেখলাম উইকেট শিকারে গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে যেতে। এমন স্মরণীয়

বিদায়ই চেয়েছিলাম।’’

Advertisement

এ দিন ৫৬৪তম টেস্ট উইকেট নিয়ে শিকারসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বসেরা পেসারের আসনে বসে পড়লেন অ্যান্ডারসন। টপকে গেলেন গ্লেন ম্যাকগ্রাকে (৫৬৩)। তাঁর সামনে এখন মুথাইয়া মুরলীধরন (৮০০) শেন ওয়ার্ন (৭০৮) এবং অনিল কুম্বলে (৬১৯)। অ্যান্ডারসনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওই উইকেটটা কুকি মাঠে দাঁড়িয়ে দেখতে পেল বলেই ভাল লাগছে। ভারতীয়রা যখন বড় পার্টনারশিপ গড়ছিল, তখনই মনে হচ্ছিল লক্ষ্যের কাছাকাছি যাচ্ছে ওরা। তখন ওদের থামানো দরকার ছিল। আমি ছন্দে ছিলাম বলে আমাকে নতুন বলটা দেয় জো। কুকের শেষ টেস্টে মাইলস্টোনটা পেয়ে ভাল লাগছে। ও আমার ভাল বন্ধু। ওর অভাব অনুভব করব।’’

তবে জীবনের শেষ টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরির জন্য কুক যশপ্রীত বুমরাকে ধন্যবাদ জানাতে চান। কভার অঞ্চল থেকে তাঁর ওভার থ্রো-র জন্যই সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে পারেন কুক। বুমরার থ্রো-টা নিখুঁত হলে তাঁর একশোয় পৌঁছনোর স্বপ্ন চুরমার হয়ে যেত। সেই জন্যই ধন্যবাদ। সোমবার খেলার পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বিপক্ষের পেসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। বলেন, ‘‘বুমরার থ্রো-টা আমার বুকে প্রায় ব্যথা ধরিয়ে দিয়েছিল। পুরো সিরিজেই ও বহুবার আমাকে সমস্যায় ফেলেছে।’’

সেঞ্চুরির মুহূর্তটাও ছিল মনে রাখার মতো। কুক বলেন, ‘‘যেন একটা বিস্ফোরণ ঘটে ওই মুহূর্তে। তবে জো (রুট) কিছু বলতে পারেনি। শুধু বলছিল, ‘ওয়াও’ আর হাসছিল। ও বোধহয় চাইছিল, আমি অন্তর থেকে মুহুর্তটা উপভোগ করি। সেটাই করেছি। গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে সবাই যখন হাততালি দিতে শুরু করে, তখন আরও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে মুহূর্তটা। এটা অন্তর থেকেই অনুভব করেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement