বিরাট কোহালি। ছবি: পিটিআই।
একটা বই বদলে দিতে পারে একটা মানুষের জীবন। লিখতে পারে সাফল্য, ব্যর্থতার কাহিনি। মানুষের জীবনে বইয়ের অবদান এমনটাই। ব্যাতিক্রম নন স্বয়ং ভারত অধিনায়কও। বিরাট কোহালি খোলসা করলেন তাঁর জীবনে বইয়ের অবদানের কথা। জানালেন কী ভাবে একটি বই বদলে দিয়েছিল তাঁকে।
আরও খবর: ‘কোহালিকে স্লেজ করলে ব্যাট আর মুখ দুটোতেই পাল্টা জবাব দেবে’
একটা বই-ই বদলে দিয়েছিল জীবন। দেখিয়েছিল সাফল্যের রাস্তা। সম্প্রতি পর পর চার সিরিজে চারটি ডবল সেঞ্চুরি। ছাপিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান ও রাহুল দ্রাবিড়কে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন সাফল্যের শীর্ষে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি নিজেই জানিয়েছেন তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে একটি বই। একটি জীবন কাহিনি। পরমহংস যোগানন্দর ‘অটোবায়োগ্রাফি অফ যোগি’ কী ভাবে বদলে দিয়েছে বিরাটের জীবন, সেটাই তিনি জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। বলেন, ‘‘এটা আমার খুব প্রিয় বই। তাদের সকলেরই এই বই পড়া উচিত যারা নিজের চিন্তা-ভাবনা ও মতাদর্শকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার সাহস রাখে। এই বইটি প়়ড়ার পর, বোঝার পর এবং জীবনে সেই অনুযায়ী চলার পর সবটাই বদলে যাবে।’’
এই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন বিরাট
অতীতে কোহালির ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা বিরাটের উত্থান নিয়ে নানা বক্তব্য রেখেছেন। জানিয়েছেন কী ভাবে ২৮ বছরের ব্যাটসম্যান একজন প্রতিভাবান প্লেয়ার থেকে একজন গ্রেট প্লেয়ার হয়ে উঠলেন। তিনি সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘কোহালি আমাকে একবার বলেছিল, আমি যদি অধিনায়ক হিসেবে একটা লক্ষ্য স্থির না করি তা হলে কে করব? সারা বিশ্ব যাকে দেখে বিস্মিত সেই মানুষটির পিছনের ছেলেটিকে আমি জানি। জানি কী ভাবে প্রিয় বাটার চিকেন, রোল, ফাস্টফুড খাওয়া ছেড়েছে ও।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ও খুব হিসেব করে খায়। তাই আমার বাড়িতে এলে ওকে কখনও প্যাকেটের জুস দেওয়া হয় না। তাজা ফলের জুস দিতে হবে অথবা কিছু না।’’