ক্রিকেট-বলিউড গাঁটছড়া অনেক বছর ধরেই জায়গা করে নিয়েছে শিরোনামে। বাইশ গজ আর টিনসেল টাউনের কিছু সম্পর্ক গড়িয়েছে দাম্পত্যে। বেশিরভাগই রয়ে গিয়েছে গুঞ্জন হয়ে। সে রকমই একটি রবি শাস্ত্রী-অমৃতা সিংহের প্রেম।
১৯৮১ সালে টেস্ট এবং ওয়ান ডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় রবি শাস্ত্রীর। আশির দশক তাঁর কেরিয়ারের স্বর্ণযুগ। সে সময় বলিউডে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন অমৃতা সিংহ।
মাঠের বাইরেও মহিলা মহলে জনপ্রিয় ছিলেন সুদর্শন রবি শাস্ত্রী। শোনা যায়, তিনি আর অমৃতা, একে অন্যের প্রেমে হাবুডুবু খেতেন।
বেশ কয়েক বছর তাঁদের প্রেম গোপন ছিল। প্রকাশ্যে আসে ১৯৮৬ সালে। সে বছর এক জনপ্রিয় ফিল্ম পত্রিকার প্রচ্ছদে দু’জনের অন্তরঙ্গ ছবি দেখা যায়। জনসমক্ষে আসে তাঁদের সম্পর্ক।
ক্রিকেট এবং বিনোদন, দুই মহল কার্যত নিশ্চিত ছিল তাঁদের বিয়ে নিয়ে। তাঁদের নাকি এনগেজমেন্টও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরেও ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক।
কেন ভেঙে গেল রবি শাস্ত্রী-অমৃতা সিংহ প্রেম? তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার আগে এক সাক্ষাৎকারে রবি শাস্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি চান তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ হবেন। ব্যস্ত থাকবেন সংসার নিয়ে।
অন্যদিকে অমৃতা জানিয়েছিলেন, তিনি সেই মুহূর্তে ব্যস্ত কেরিয়ার নিয়ে। তবে কয়েক বছর পরে গৃহবধূ হয়ে যেতে তাঁর আপত্তি নেই। মনে করা হয়, এই কারণেই ভেঙে গিয়েছিল রবি শাস্ত্রী ও অমৃতার সম্পর্ক।
অমৃতার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৯০ সালে রবি শাস্ত্রী বিয়ে করেন ঋতু সিংহকে। তার পরের বছরই বয়সে ১২ বছরের ছোট সইফ আলি খানের ঘরনি হন অমৃতা।
সইফকে বিয়ের পরে অভিনয় ছেড়ে দেন অমৃতা। ইন্ডাস্ট্রিকে কিছুটা অবাক করে দিয়েই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০০৪ সালে। ন’বছরের মেয়ে আর তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বামীর থেকে আলাদা যান অমৃতা।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর থেকে একাই আছেন অমৃতা। সিঙ্গল পেরেন্ট হয়ে বড় করেছেন দুই সন্তানকে। অন্যদিকে সইফ ২০১২ সালে বিয়ে করেন করিনাকে।
ওঠানামা এসেছে রবি শাস্ত্রীর দাম্পত্যেও। ২০১৮ সালে গুঞ্জন শোনা যায়, তিনি নাকি প্রেম করছেন ‘লাঞ্চবক্স’ খ্যাত অভিনেত্রী নিমরত কউরের সঙ্গে। দু’বছর ধরে চলছে তাঁদের সম্পর্ক।
এর জেরে নাকি স্ত্রীর সঙ্গেও রবির সম্পর্কের অবনতি হয়। যদিও রবি এবং নিমরত, দু’জনেই তাঁদের সম্পর্কের কথা নস্যাৎ করে দেন।