বিলিংসকে আউট করার পর আশিস নেহরা। ছবি: রয়টার্স।
আশিস নেহরার হাত ধরেই দ্বিতীয় টি২০তে ম্যাচে ফিরেছিল ভারত। তার পর শেষ বলে জয় ছিনিয়ে নেওয়া। যোগ্য সঙ্গত বুমরাহর। শেষ বলটা তো করেছিলেন তিনিই। কিন্তু এই আশিস নেহরার ফেরা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ঠিক যেভাবে প্রথম ওয়ান ডেতে যুবরাজ সিংহ রান না পাওয়ায় হয়েছিল। দ্বিতীয় ওয়ান ডেতেই সেঞ্চুরি করে যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন যুবরাজ। একইভাবে দ্বিতীয় টি২০তে তিন উইকেট নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিলেন নেহরাও। বলেন, ‘‘আমি টি২০ খেলি বা ওয়ান ডে সব সময়ই নেটে একটি স্ট্যাম্প রেখে অনুশীলন করি যাতে টার্গেট সঠিক করতে পারি। আমি কখনও ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাববোধ করি না। ম্যাচে ফিরতে আমার একটি ম্যাচ লাগে।’’
আরও খবর: নেহরার টোটকায় ১-১ করলেন বুমরাহ
সিরিজে টিকে থাকতে এই ম্যাচ জিততেই হত ভারতকে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট পাওয়াটা যতটা সমস্যার ছিল ততটাই বিপদ ডেকে এনেছিল মোট রান। ১৪৪ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ফ্লপ। একমাত্র লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে এল ৭১ রান। বাকি কেউই ৩০এর উপর উঠতে পারলেন না। এমন কী দু’অঙ্কের রানে পৌঁছলেন মাত্র তিনজন। বাকিদের রান ৭, ৪, ৫, ২, ০, ০। যার ফলে পুরো চাপটা এসে পড়েছিল বোলারদের উপর। সেখানেই বাজিমাত নেহরার। দুই ওপেনারকে পর পর তুলে নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরকে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন তিনিই। যখন লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে ইংল্যান্ড তখন ক্রিজে জাঁকিয়ে বসা বেন স্টোকসকে প্যাভেলিয়নে পাঠিয়ে আবারও দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন তিনি। নেহরা বলেন, ‘‘আমি ডোমেস্টিক ক্রিকেট নিয়মিত খেলেছি। এর পর আইপিএল। আমি বা ধোনির মতো যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলি না এখন, সে কারণে বেশি করে ডোমেস্টিক ক্রিকেট খেলতে হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতাটাই কাজ করে।’’
আশিস নেহরা ও যশপ্রীত বুমরাহ। ছবি: রয়টার্স।
নেহরার ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর তাঁর বয়স নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। সেই সব সমালোচকদের ও সরাসরি মিডল স্ট্যাম্পেই হিট করেছেন জবাব দিয়ে। বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতে যদি তুমি খেলে যাও তা হলে কোনও প্রশ্ন ওঠে না, কিন্তি কয়েকটি ম্যাচে হারের মুখ দেখলে বাকি ১৫জন নয় শুধু আশিস নেহরাকে নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। এটা নিয়ে আমি ভাবি না। কারণ বয়স আমার কাছে শুধু একটা নম্বর। আমি জানি একজন ফার্স্ট বোলারের নিজেকে ফিট রাখা কতটা কঠিন। কিন্তু আমি আমার খেলাটা উপভোগ করি কারণ আমি শারীরিকভাবে ফিট।’’
গত সাত-আট মাস খেলার মধ্যেই ছিলেন না তিনি। তবু কখনও মনে হয়নি ম্যাচ প্র্যাকটিসের মধ্যে নেই। তবে এত কম রানের লক্ষ্যের আগে প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়াটাও সহজ ছিল না। কিন্তু অমিত মিশ্রার নো-বল আরও বেশি কঠিন করে দিয়েছিল ম্যাচকে। বলেন, ‘‘যদি অমিত মিশ্রা নো-বল না করত তা হলে আরও আগে আমরা ম্যাচে ফিরতে পারতাম। যখন বেন স্টোকস দুটো ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি পেল তখন ওরা এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু টি২০তে আগে থেকে কিছু বলা যায় না।’’ তাঁর সঙ্গে যশপ্রীত বুমরাহও একইভাবে দেশের জয়ে ভূমিকা রেখে গিয়েছেন। ডেথ ওভারে এভাবে বল করাটা যে সহজ ছিল না সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন আশিস নেহরা।