বিপক্ষকে প্রায় উড়িয়ে দিয়ে ডব্লিউটিএ ফাইনালসের খেতাবি লড়াই জিতে সানিয়া মির্জা ও মার্টিনা হিঙ্গিস একে অপরের প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিলেন।
সিঙ্গাপুরে রবিবার ঘন্টাখানেকের ফাইনাল জেতার পর হিঙ্গিস যেমন বললেন, ‘‘আজ অন্য সানিয়াকে পাশে পেলাম। কোর্টের সর্বত্র ও।’’ তেমনই সানিয়া বললেন, ‘‘আমরা দু’জনে একসঙ্গে এই বছরটা যা কাটালাম, তা অসাধারণ। মার্টিনা সঙ্গে না থাকলে বোধহয় এত ভাল একটা বছর পেতাম না। বছর শেষ করার জন্য এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে?’’
সানিয়া-মার্টিনার এই অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতি রবিবার ফাইনালের পর যিনি তাঁদের হাতে তুলে দেন, সেই বড় মার্টিনা অর্থাৎ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা আবার তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে ভাসিয়ে দিয়েছেন অভিনন্দন বার্তা। লেখেন, ‘‘এক নম্বর টিমের কী দাপুটে পারফরম্যান্স, বিশেষ করে সানিয়ার। অনবদ্য।’’ মার্টিনার এই টুইটের জবাবে সানিয়া লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ মার্টিনা। আপনার কাছ থেকে (অভিনন্দনবার্তা) আসা মানে আমার কাছে অনেক কিছু... আপনার কাছ থেকে ট্রফি নেওয়াটাও সম্মানের।’’
দেশের সেরা ডাবলস তারকা লিয়েন্ডার পেজও টুইট করেছেন, ‘‘অভিনন্দন মার্টিনা-সানিয়া। দুর্দান্ত মরসুম।’’ অপর তারকা মহেশ ভূপতির টুইট, ‘‘মার্চে শুরু করার পর ওদের দাপট দেখে অবিশ্বাস্য লাগল।’’ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও সোশ্যাল মিডিয়াতে সানিয়াকে অভিনন্দন জানান।
রবিবার ইন্দো-সুইস জুটি মাত্র একটি সার্ভিস খোয়ান। বিপক্ষের সার্ভিস ভেঙেছেন পাঁচ বার। যা নিয়ে হিঙ্গিস বলেন, ‘‘দিনটা একেবারে পারফেক্ট ছিল। সানিয়া যেন এ দিন ওর সব কিছু ফিরে পেয়েছিল। কী অসাধারণ খেলল।’’ হিঙ্গিসের কাছেও রবিবারের জয়টা স্মরণীয়। কারণ, এটি তাঁর জীবনের পঞ্চাশতম ডব্লিউটিএ ডাবলস খেতাব।
বছর শেষের এই খেতাব জয় নিয়ে সানিয়ার বক্তব্য, ‘‘এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য সারা জীবন লড়াই করি আমরা। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে খেলে জেতার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ।’’