লড়াই শেষ গম্ভীরের। শনিবার ইডেনে। ছবি শঙ্কর নাগ দাস
ইডেনের স্কোরবোর্ডে যখন জ্বলজ্বল করছিল ‘কর্নাটক ইনিংস ও ১৬০ রানে জিতেছে’, তখন দুপুরও গড়ায়নি। লাঞ্চের পর ৫০ মিনিট খেলা হয়েছে মাত্র। আড়াই দিনও বলা যায় না। এর মধ্যেই দিল্লি কর্নাটকের কাছে ইনিংস হার মেনে নেওয়ার পর কোচ ভাস্কর পিল্লাই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন।
‘‘বীরেন্দ্র সহবাগ, বিরাট কোহালি, মোহিন্দার অমরনাথ, মদনলালরা যে দিল্লির হয়ে খেলেছেন, সেই দিল্লির জার্সি গায়ে মাঠে নামতে গেলে কমিটমেন্ট দরকার। নিজের থেকেও বেশি দলের কথা ভাবতে হয়। সে সব এদের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না’’, লজ্জার হারের পর ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন প্রাক্তন এই রঞ্জি ক্রিকেটার।
যাঁদের সম্পর্কে এই কথা বলছেন, তাঁদের মধ্যে গৌতম গম্ভীর নামের একজন ক্রিকেটারও রয়েছেন, যিনি সদ্য টেস্টে কামব্যাক করেছেন। যিনি আগের ইনিংসে পুল করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছিলেন আর এই ইনিংসে অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিলেন। দুই ইনিংসেই দু’রান করে এল তাঁর ব্যাট থেকে।
ঋষভ পন্থ। যিনি এই ম্যাচের আগের দুই ইনিংসে করেছিলেন যথাক্রমে ১৪৬ ও ৩০৮, তিনি কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে খোঁচা মেরে স্লিপে তালুবন্দি হলেন। কোচের বক্তব্য, ‘‘পাটা উইকেটে বড় রান করা যতটা সোজা, বল একটু বেশি মুভ করলে সেই উইকেটে রান তোলা মোটেই সোজা নয়। উইকেট ও কন্ডিশন অনুযায়ী তো আপনাকে খেলতে হবে। সেটাই এরা পারল না। এমনিতেই কর্নাটক খুব ভাল বল করেছে। আর আমাদের ছেলেরা তাতে ভুলভাল শট খেলে উইকেট ছুড়ে দিয়ে চলে এল, হারাকিরি করল। রঞ্জি লেভেলে এই সব শট নেওয়া যায় না।’’
‘ঘরের ছেলে’ গৌতম গম্ভীর অবশ্য মুখ খুলতে রাজি নন। ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করে গেলেও নিজের বা দলের ক্রিকেটীয় ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে রাজি নন তিনি। ইডেন ড্রেসিংরুমের সামনে অটোগ্রাফ ও সেলফি বিলোতে বিলোতে সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও কথা নয়।
কোচ ঘুরিয়ে খোঁচা দিলেন ডিডিসিএ-কে। ‘‘অ্যাসোসিয়েশনের অবস্থার প্রভাব তো পড়বেই। আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটে তিন দিনের ম্যাচ হয় না। বুচিবাবু, কেএসসিএ-র মতো প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট খেলি না আমরা। এই অবস্থা তো হবেই।’’
ইডেনের উইকেট নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ নেই। দু’পক্ষই যথেষ্ট ভাল উইকেটের সার্টিফিকেট দিল। দিল্লি কোচ বলে দিলেন, ‘‘আর যা ই হোক এটা ৯০-এ অল আউট হওয়ার মতো উইকেট নয়।’’
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দিল্লি ৯০ ও ১৬৪ (বরুণ সুদ ৪১, উন্মুক্ত চন্দ ৩৮, কে গৌতম ৫-৩৫) কর্নাটক ৪১৪।