টিকিট ছেপে সংগঠকদের হাতে আসেনি। অথচ ফিরতি ডার্বির টিকিটের জন্য তাগাদা শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের একাংশ শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের ফোন করে টিকিটের জন্য আর্জি জানাতেও শুরু করে দিয়েছেন। ক্রীড়া পরিষদের তরফেও সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিবদের তারা জানিয়ে দিচ্ছেন কোন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কত টিকিট লাগবে তা ৩১ মার্চের মধ্যে আবেদন করে জানিয়ে দিতে। সেই মতো তারা টিকিটের ব্যবস্থা করবেন।
আগামী ৯ এপ্রিল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ওই ডার্বিকে ঘিরে পারদ চড়তে ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষ বলেন, ‘‘জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের টিকিট দেওয়ার বিষয়টি। তাদের কার কত টিকিট লাগবে তা ৩১ মার্চের মধ্যেই জানাতে বলা হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে ডার্বির দুই যুযধান শিবির ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ক্লাব কর্তাদের কার কত টিকিট লাগবে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বুধবারের মধ্যে হাতে টিকিট পেয়ে যাবেন ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, টিকিট ছাপা হয়ে গিয়েছে, এখন ‘বাইন্ডিং’-এর কাজ চলছে। কয়ে দিনের মধ্যেই টিকিট চলে আসবে। তারপর সেগুলি সিল মেরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হবে।
ফিরতি ডার্বি ম্যাচে টিকিটের দাম ১২ ফেব্রুয়ারির ডার্বির চেয়ে কম রাখা হয়েছে। সে কারণে চাহিদাও তুঙ্গে হবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। কোচবিহার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বিষ্ণু বর্মন বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে ডার্বি হলে এখানে চাহিদা হবেই। শেষ ডার্বিতে তো দেড়শো টিকিট আমাদের কছ থেকে নিয়েই উৎসাহীরা খেলা দেখতে গিয়েছে। অনেককে দিতে পারিনি। এবারও অনেকে চাইছেন।’’ কত টিকিট লাগবে শীঘ্রই তা শিলিগুড়ি ক্রীড়া পরিষদকে তাঁরা জানিয়ে দেবেন। জলপাইগুড়ি, উত্তরবঙ্গ দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরেও টিকিটের জন্য ফুলবটপ্রেমীরা স্থানীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব সুদীপ বিশ্বাস জানান, অনেকেই ডার্বির টিকিটের জন্য বলছে। কতজন চাইছে দেখে নিয়ে সেই মতো তাঁরা জানিয়ে দেবেন।