দর্শক: রঞ্জি ম্যাচ দেখতে ইডেনে ডিন্ডা এবং সৌরভ। নিজস্ব চিত্র
সিএবি কর্তাদের বক্সে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যখন প্রবেশ করেন, ঠিক তখনই কে এল রাহুলের উইকেট পেয়ে উৎসবে মেতে বাংলা শিবির। মনে মনে তিনি খুশি হলেও, মুখে প্রকাশ করলেন না। কারণ, তিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট। ভারতের প্রত্যেক ক্রিকেটারের সমান গুরুত্ব তাঁর কাছে। অধিনায়ক থাকাকালীন যে ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। নতুন পদে তাঁর ভূমিকা অনেকটা সে রকম।
কিন্তু রবিবার তো তাঁর দুবাই থাকার কথা! এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকে এশিয়া কাপের তারিখ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। তা হলে ইডেনে কী করছেন তিনি? সূত্রের খবর, করোনাভাইরাস আতঙ্কের জন্য দুবাইয়ের বৈঠকই বাতিল হয়ে গিয়েছে।
মারণ ভাইরাসের উৎস চিনের উহান প্রদেশে। সরকারি হিসেবে যা কেড়ে নিয়েছে তিন হাজারেরও বেশি প্রাণ। ইউরোপেও থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। ইটালিতে বন্ধ স্টেডিয়ামে চলছে সেরি আ-র ম্যাচ। শোনা যাচ্ছে, আস্তে আস্তে সেই ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে মধ্য এশিয়ায়। তাই এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল এই বৈঠক আয়োজন করার ঝুঁকি নেয়নি।
কবে এই বৈঠক হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মার্চের মাঝামাঝি এশিয়া কাপের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলেই খবর। সৌরভ যদিও বাংলা বনাম কর্নাটকের দ্বৈরথ উপভোগ করতে ব্যস্ত ছিলেন। কর্তাদের বক্স ছেড়ে তিনি প্রবেশ করেন মাঠে। পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায়ের চেম্বারে বসে ম্যাচ দেখছিলেন। পিছনে ‘এল’ ব্লকের গ্যালারি থেকে শোনা যায় সেই চেনা ধ্বনি, ‘‘সৌরভ... সৌরভ...’’। তাঁদের প্রিয় তারকাকে দেখার জন্য আসন ছেড়ে উঠে আসেন মাঠে উপস্থিত দর্শকেরাও। সৌরভ তাঁদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে হাত নাড়ান। ইডেন থেকে বেরনোর সময় সৌরভকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘ঈশানের বোলিং সামনে থেকে দেখলেন। কেমন লাগল বাংলার পেসারের এই দাপট?’’ উত্তর দিতে চাইলেন না বোর্ড প্রেসিডেন্ট। বললেন, ‘‘ম্যাচ শেষ হয়নি। এখনও তিন দিন বাকি।’’