সফল: গোকুলম-এর বিরুদ্ধে গোল করে জেতালেন অভিজিৎ।
নেরোকা এফসি-র বিরুদ্ধে গোল করলেও দল জিততে না পারায় জন্মদিনের উৎসব মাটি হয়ে গিয়েছিল অভিজিৎ সরকারের। শুক্রবার কোজিকোড়ে গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে তার একমাত্র গোল ইন্ডিয়ান অ্যারোজ জেতায় হাসি ফিরল বঙ্গ স্ট্রাইকারের মুখে।
শুক্রবার ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়। ৭৭ মিনিটে একমাত্র গোলটি করে অভিজিৎ। কিন্তু তার আদর্শ ও আই লিগে তিন বারের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওডাফা ওকোলি নিষ্প্রভই থাকলেন অ্যারোজের বিরুদ্ধে। ভারতীয় ফুটবলে সর্বকালের অন্যতম সেরা বিদেশি স্ট্রাইকারকে দেখেই যে তেতে ছিল অ্যারোজের ফুটবলাররা, ম্যাচের পরে খোলখুলি জানাল অভিজিৎ। কোজিকোড় থেকে ফোনে অ্যারোজের জয়ের নায়ক বলল, ‘‘ওডাফার খেলা দেখেই বড় হয়েছি। তাই এ দিন ম্যাচের আগে আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম, ওকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেব না। বয়স ও অভিজ্ঞতা কম হলেও আমরা যে পিছিয়ে নেই, সেটা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম।’’ উচ্ছ্বসিত অভিজিৎ যোগ করল, ‘‘জন্মদিনে নেরোকার বিরুদ্ধে গোল করেছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা জিততে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। গোকুলমকে হারিয়ে সেই দুঃখ কিছুটা দূর হল।’’ দুরন্ত জয় শুধু নয়। আগের ম্যাচে লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা কাটিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনও ঘটাল অভিজিৎ, রহিম আলি-রা। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে সাত নম্বরে থাকা অ্যারোজের ফুটবলারদের কথায়, ‘‘ম্যাচ হারলে কোচ লুইস দে নর্টন মাতোস কখনও আমাদের সমালোচনা করেন না। স্যার বলেন, অতীত নিয়ে না ভেবে সামনের দিকে তাকাতে। পরের ম্যাচে যাতে ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য সতর্ক থাকতে। সেই কারণেই আমরা চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারি।’’
এ দিন জয়ের পরে মাতোস বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা জেতার জন্য ছেলেরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ থেকেই শেখার চেষ্টা করছি।’’ গোকুলম কোচ বিনো জর্জ-ও উচ্ছ্বসিত অ্যারোজ ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ এরা। বরিস সিংহ, আনেয়ার আলি, জিতেন্দ্র সিংহের খেলা মুগ্ধ করেছে।’’