সুশীল কুমার। —ফাইল চিত্র।
এক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগির সুশীল কুমার। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানোর জন্য সুশীলের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে দিল্লির এক আদালত।
কুস্তিগির সাগর ধনকর খুনের মামলায় অন্যতম সন্দেহভাজন সুশীল। অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগিরও জেলবন্দি। বৃহস্পতিবার দিল্লির আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। সুশীলের হাঁটুতে চোট রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অস্ত্রোপচার না করালে চোট সারবে না। মেডিক্যাল রিপোর্টে ভিত্তিতে জামিনের আবেদন করেছিলেন সুশীল। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ এবং ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে রুপোর পদক জিতেছিলেন সুশীল। ফ্রিস্টাইল কুস্তির ৬৬ কেজি বিভাগে ২০১০ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন তিনি।
গত মার্চ মাসেও এক বার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন সুশীল। সে সময় তাঁর বাবা প্রয়াত হন। বাবার শেষ কৃত্য করার জন্য চার দিনের জামিন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ২০২১ সালের ২ জুন থেকে জেলে রয়েছেন সুশীল। এর আগে ২০২২ সালে নভেম্বরে স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে জামিন পেয়েছিলেন সুশীল।
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ২০২১ সালের ৪ মে সুশীল এবং কয়েক জন সঙ্গী কুস্তির প্রাক্তন জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সাগর এবং তাঁর বন্ধুদের উপরে হামলা চালান বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হন সাগর। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে উঠে আসে, ভোঁতা কিছু বস্তু দিয়ে আঘাতের ফলে রক্তক্ষরণে সাগরের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সুশীল-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করে। তার মধ্যে রয়েছে খুন, খুনের চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, অপহরণ, ডাকাতির মতো অভিযোগ।
খুনের অভিযোগে ২০২১ সালের ২৩ মে গ্রেফতার করা হয় সুশীলকে। পুলিশের প্রথম চার্জশিটে বলা হয়, সুশীল ষড়যন্ত্র করে এই হামলা চালান। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তরুণ কুস্তিগিরদের মধ্যে নিজের ক্ষমতা আবার ফিরিয়ে আনা।