ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে নামছেন রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকা— ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং গ্যারেথ বেল। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে, দুশো কিলোমিটার দূরত্বে, লেন্স ও প্যারিসে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বনাম ক্রোয়েশিয়া
রোনাল্ডো প্রথম দু’ম্যাচে বিপক্ষ গোলে প্রায় ২০টা শট মারলেও তার খুব কমই টার্গেটে ছিল।
অস্ট্রিয়া ম্যাচে পেনাল্টি মিস।
শেষ ম্যাচে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে দু’গোল করে ৩-৩ ড্র করতে সাহায্য করেন পর্তুগালকে। যার প্রথমটা স্মরণীয় ব্যাক ফ্লিকে। গোল করা ছাড়াও কয়েকটা দুর্দান্ত মুভ তৈরি করেন।
বিপক্ষের কাছে বিপদ
নানির সঙ্গে যুগলবন্দিতে বিপজ্জনক সব মুভ তৈরি।
স্পট জাম্পে শূন্যে লাফিয়ে ট্রেডমার্ক হেড।
ফ্রি-কিক মারলে সেই নাকল বল।
বিপক্ষের তুরুপের তাস লুকা মডরিচ
কেন?
মিডফিল্ড মার্শাল। পাসের পর পাস বাড়িয়ে চলেছেন ইউরোয়।
প্রচুর ওয়ার্কলোড নিচ্ছেন।
স্কোরিং দক্ষতা। প্রথম ম্যাচে তুরস্কের বিরুদ্ধে ২৫ গজের ভলিতে গোল।
মুখোমুখি
ম্যাচ ৩, পর্তুগালের জয় ৩, ক্রোয়েশিয়ার জয় ০, ড্র ০
গ্যারেথ বেল বনাম নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড
গ্রুপে বেল প্রায় একা ওয়েলসকে টেনেছেন।
বেল-ড্যাশে বিপক্ষ ডিফেন্স নাজেহাল।
তিন ম্যাচে তিন গোল, দুটো ফ্রি-কিক থেকে। ইউরোয় যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা।
নীচে নেমে ডিফেন্সকেও সাহায্য করছেন।
বিপক্ষের কাছে বিপদ
দূরপাল্লার শটে গোলকিপারকে নাজেহাল করা।
উইং চেরা ক্রস।
ফ্রি-কিক থেকে গোল।
বিপক্ষের তুরুপের তাস মাইকেল ম্যাকগভার্ন
কেন?
দক্ষ গোলকিপার। দারুণ রিফ্লেক্স।
একের বিরুদ্ধে একে সর্বদা ঠান্ডা মাথা।
অসম্ভব ভাল গ্রিপ।
মুখোমুখি
ব্রিটিশ ডার্বিতে ৩৪ ম্যাচে ১৫ বার ওয়েলস হারায় নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডকে।